জেনেনিন বিস্তারিত শিশুর সঠিক ওজন পাওয়ার জন্য কি কি করা দরকার

একটু নাদুস-নুদুস শিশুই পছন্দ করেন সবাই। কিন্ত বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়তি ওজন যোগ হলে বাড়ে দুশ্চিন্তাও। তখন অতিরিক্ত ওজনটুকু ঝেড়ে ফেলার জন্য নানা প্রচেষ্টা যোগ হয়।

শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক, যেকোনো বয়সেই অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং হাঁপানির মতো বেশ কয়েকটি রোগের কারণ হতে পারে। শৈশবে স্থূলত্ব আমাদের জীবনযাত্রার কারণে, বিশেষত শহুরে জনগণের মধ্যে একটি গুরুতর স্বাস্থ্যেগত উদ্বেগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই অতিরিক্ত ওজন কেবল তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে না, এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। শিশুরা তাদের বাবা-মা বা অভিভাবকদের উপর নির্ভরশীল। তাই তাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে অভ্যস্ত করার দায়িত্ব অভিভাবকের। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন কিছু সহজ পদক্ষেপের কথা, যার মাধ্যমে শিশুর ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব-

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
শৈশবে আপনার শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন। বড় হওয়ার পরেও তারা এতে অভ্যস্ত থাকে। ওজন পরিচালনার ক্ষেত্রে ডায়েট একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এগুলো শিশুর উপর শক্তভাবে চাপিয়ে দেবেন না, বরং প্রতিদিন ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন। শাকসবজি, ফলমূল এবং আস্ত দানাজাতীয় খাবার দিন তাদের পাতে। তাদের চিনিখাওয়া সীমিত করুন এবং আরও জল পানে উৎসাহিত করুন।

তাদের সক্রিয় থাকতে অনুপ্রাণিত করুন
যেহেতু তারা এই বয়সে কঠোর অনুশীলন করতে পারে না, তাই তাদের সক্রিয় থাকতে উৎসাহ দিন। বিকেলের সময়টা টেলিভিশনের সামনে ব্যয় করার অনুমতি দেয়ার পরিবর্তে, তাদের বাইরে খেলতে বা হাঁটাতে বলুন। ৬ থেকে ১৭ বছরের শিশুর দৈনিক কমপক্ষে এক ঘণ্টার জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।

ঘুম
ঘুম আপনার শিশুর ওজনকে প্রভাবিত করে। দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হলে তা তাদের স্বাভাবিক ডায়েটের চেয়ে বেশি খেতে বাধ্য করে। মনে রাখবেন, শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স্কদের চেয়ে বেশি ঘুম দরকার। বয়সের সাথে ঘণ্টার সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার দেবেন না
চিপস এবং চকোলেট জাতীয় প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। এর পরিবর্তে, স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যেমন তাজা ফল, আস্ত শস্যের সিরিয়াল, বাদাম এবং দই খেতে দিন। কুকিজ এবং ক্যান্ডি প্রতিদিনের অভ্যাস নয়, মাঝে মাঝে খেতে দেয়া উচিত।

খাবারে লেবেল করবেন না
খাবারকে ভালো বা খারাপ হিসাবে লেবেল করবেন না। কোনো একটি খাবারকে নিষিদ্ধ বললে তা শিশুদের আরও প্রলুব্ধ করে তোলে। স্বাস্থ্যকর খাওয়ার পুরষ্কার হিসাবে তাদের চকোলেট এবং কুকিজ দেওয়া এড়ানো উচিত। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ঘরেই খাবার তৈরি করে খাওয়ান। কোন খাবারটি শরীরের কোন উপকারে লাগে, তা তাদের জানান। এটি তাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার গুরুত্ব বুঝতে শেখাবে।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

5 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

12 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

13 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

13 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago