নারীদের এমন কিছু স্বভাব রয়েছে যা পুরুষেরা একেবারেই পছন্দ করে না, জেনেনিন

সব মানুষের বৈশিষ্ট্য একইরকম হয় না। মানুষের বৈশিষ্ট্যই তাকে আলাদা করে। অন্যের স্বভাব কিংবা গুণ দেখে মানুষ প্রেমে পড়ে, ভালোবাসে বা পছন্দ করে। আবার স্বভাবের কারণেই দূরে সরে যায়। নারীদের এমন কিছু স্বভাব রয়েছে যা পুরুষেরা একেবারেই পছন্দ করে না। যে কারণে ফাটল ধরতে পারে সম্পর্কেও। জেনে নিন নারীর এমন পাঁচটি অভ্যাস বা স্বভাব সম্পর্কে যা পুরুষেরা পছন্দ করেন না-

​আদেশ দেওয়া

সবকিছুতে প্রভাব বিস্তার করতে চাওয়া বা যখন-তখন আদেশ দেওয়ার স্বভাব থাকলে সেই নারীকে পুরুষেরা পছন্দ করে না। পুরুষের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে চাইলে তারা সেটি মেনে নিতেও চান না। আসলে সম্পর্ক টিকে থাকে পারস্পারিক সহযোগিতায়। একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে সেই সম্পর্ক বেশিদূর এগোতে পারে না। এমন স্বভাব কোনো নারীর মধ্যে থাকলে তাকে কিছুদিনের মধ্যেই অপছন্দ হতে শুরু করে পুরুষটির।

​উপেক্ষা করার স্বভাব

সম্পর্কের শুরুতে মেয়েটি হয়তো ছেলেটিকে উপেক্ষা করতে থাকে, যেন ছেলেটি তার প্রতি আরও বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। প্রথম দিকে পুরো ব্যাপারটি উপভোগ্য মনে হলেও ছেলেরা এটি বেশিদিন সহ্য করতে পারে না। কিন্তু মেয়েটি যদি সব সময়ই এই অভ্যাস ধরে রাখে, তাহলে ছেলেটির পক্ষে সেটি মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। উপেক্ষা কেউ-ই বেশিদিন সহ্য করতে পারে না। এর ফলে অজান্তেই বাড়তে থাকে দূরত্ব। তাই হারিয়ে ফেলতে না চাইলে বাদ দিতে হবে উপেক্ষা করার স্বভাব।

​হিংসুটে

কথায় আছে, মেয়েরা একটু বেশিই হিংসুটে হয়। অধিকাংশ নারীই তার জীবনসঙ্গীর ক্ষেত্রে বেশি পজেসিভ হয়ে থাকেন। অনেকে আবার ভোগেন নিরাপত্তাহীনতায়। যে কারণে স্বামীর মুখে অন্য কোনো নারীর নাম শুনলেও তারা তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন। অনেকে আবার একধাপ এগিয়ে। তারা পুরুষ সঙ্গীটিকে সন্দেহ করতে থাকেন। নারীর এই অভ্যাস পুরুষের কাছে একটা সময় অসহ্য হয়ে ওঠে। সন্দেহ অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সন্দেহবাতিক থাকলে তা আজই বাদ দিন। সঙ্গীর ওপর আস্থা রাখুন। হিংসা আপনার মনের শান্তি নষ্ট করবে।

স্পেস না দিলে

বর্তমান সবাই চায় কিছুটা স্পেস বা নিজের মতো করে সময় কাটাতে। বিয়ে করা মানেই প্রাইভেসি বলে কিছু থাকবে না, তা কিন্তু নয়। সন্দেহবাতিকতা ও হিংসাপরায়নতার কারণে অনেক নারী স্বামীকে কোনো স্পেসই দিতে চান না। এটি দেখতে ভালোবাসা মনে হলেও আসলে এক ধরনের মানসিক নির্যাতন। অনেকে সারাক্ষণ পুরুষসঙ্গীর ওপর নজরদারি বজায় রাখেন। তার ব্যক্তিগত সবকিছু ঘাঁটাঘাঁটি করেন। এ কারণে পুরুষটি বিরক্ত হন এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দূরত্ব।

একই কথা বারবার বললে

পুরুষের কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে একই কথা বলতে থাকলে সেটি তারা সহ্য করতে পারেন না। দুঃখজনকভাবে, এই স্বভাব অনেক নারীর মধ্যেই দেখা যায়। এটি সঙ্গীর মনে খুবই নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। যে কারণে এই অভ্যাস থাকলে তা দূর হবে। এক কথা বারবার বলবেন না। কোনো সমস্যা হলে তার সহজ সমাধান খুঁজে বের করুন।

News Desk

Recent Posts

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

3 hours ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

4 hours ago

ধূমপানে আসক্তি কমাতে পান করুন ৩ পানীয়

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হলেও তা মানতে নারাজ ধূমপায়ীরা। আবা ধূমপানের অভ্যাসও ছাড়া বেশ মুশকিল। ধূমপান ছাড়তে কতজনই না কত…

4 hours ago

ওজন কমে যাওয়া কঠিন যে ৫ রোগের লক্ষণ হতে পারে

অতিরিক্ত ওজনে যারা ভুগছেন সামান্য ওজন ঝরতেই তারা খুশি হয়ে যান! তবে ডায়েট বা শরীরচর্চা ছাড়াও যদি হঠাৎ করে আপনার…

7 hours ago

জ্বরসহ কী কী লক্ষণ দেখলে ডেঙ্গু টেস্ট করানো জরুরি?

দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…

23 hours ago

যে রঙের কাপড়ে মশা বেশি আকৃষ্ট হয়

মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…

1 day ago