March 29, 2024 | 6:06 AM

সারাদিন প্রচুর কাজকর্মে ব্যস্ত রয়েছেন মানে আপনি প্রচুর খাটছেন, অতএব ওজন আপনা থেকেই কমবে- এটি ভ্রান্ত ধারণা। আপনি যদি ওজন কমাতে চান তবে প্রথমেই এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্বাভাবিক খাটাখাটুনি আর ওজন কমানোর পরিশ্রম দুটোই আলাদা। বরং জেনে নিন, কী করে সবদিক সামলেও বাড়িতেই মেদ ঝরানোর বন্দোবস্ত করতে পারেন।

* ওজন কমানোয় বেশি তাড়াহুড়োর প্রয়োজন নেই। আমেরিকান কাউন্সিল অন এক্সারসাইজের গাইডলাইন অনুযায়ী ওজন কমানোর আদর্শ লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ কিলোগ্রাম। উচ্চতা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চিতে এক কিলোগ্রাম, এই সোজা পদ্ধতি মেনে চলুন। যদি আপনার উচ্চতা হয় ৫ ফুট অর্থাৎ ৬০ ইঞ্চি সেক্ষেত্রে পুরুষদের ওজন হওয়া উচিত ৬০ কেজির আশপাশে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হিসাব চার-পাঁচ কেজি কমিয়ে নিতে হবে। টার্গেট ঠিক করে নিলে ক্যালরি ইনটেক ও বার্ন করার হিসাবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।

* সারাদিনে আপনার কতটা ক্যালরি দরকার, তার একটা হিসেব করে নিলে কতটা বার্ন করা প্রয়োজন, সেটা বুঝতে পারবেন। একজন পূর্ণবয়স্ক মহিলার দিনে ২০০০ কিলোক্যালরি হলেই চলে। এবার যতটা ইনটেক করা হচ্ছে, ততটাই এক্সারসাইজ করে বার্ন করে ফেললেও কমার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করা প্রয়োজন। তার জন্য প্রত্যেক দিন ডায়েট থেকে ২৫০ ক্যালরি কমানো এবং একইসঙ্গে এক্সারসাইজ করে ২৫০ ক্যালরি কমানো। এতে শরীরে প্রয়োজনীয় ক্যালরির ঘাটতি তৈরি হবে, যার ফলে ওজন কমবে।

* সারাদিন যতই কাজ করুন, নিয়ম করে অন্তত আধা ঘণ্টা আলাদা করে রাখুন শারীরচর্চার জন্য। বাড়ির কাছে সুইমিং পুল থাকলে সাঁতারে ভর্তি হয়ে যান। কাছাকাছি মাঠ থাকলে জোরে হেঁটে আসুন আধা ঘণ্টা। সাইকেলও চালাতে পারেন। হাঁটার জায়গা না থাকলে ঘর কিংবা বারান্দাতেও স্পট রানিং করতে পারেন।

* কোমর-পায়ের জয়েন্ট এবং পেশির জোর বাড়াতে স্কোয়াট, লাঞ্জ কিংবা বাড়ির সিঁড়িতে স্টেপ আপ করতে পারেন। আর একটি ভাল স্ট্রেংথ এক্সারসাইজ হল দু’হাতে দুটি দু’লিটারের জলের বোতল নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা। দু’লিটারের জলের বোতল অর্থাৎ দু’কেজি ওজনের ডাম্বল তোলার সমান। এ ছাড়া পুশআপ করতে পারেন আপার বডি শেপে আনার জন্য। স্কিপিং ও এয়ার বক্সিংও করতে পারেন ঘাম ঝরাতে।

* যদি তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে চান, তাহলে যোগব্যায়ামের চেয়ে এক্সারসাইজ বেশি কার্যকর। তবে যোগব্যায়ামের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী। মনে প্রশান্তি, চিন্তা-ভাবনায় স্বচ্ছতা, একাগ্রতা, শরীরে নমনীয়তা ইত্যাদির জন্য যোগাসনের বিকল্প নেই। যোগাসন এবং এক্সারসাইজ দুটোর সময় ভাগ করে নিয়েও করতে পারেন। যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম শুরু করলে কোন পেশাদারের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।

তাই হাজার ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বার করুন হাঁটা বা ব্যায়ামের জন্য, যা আপনাকে সুস্থতা দেবে।