March 28, 2024 | 10:50 PM

শিশুরা সাধারণত ক্যান্ডি, টফি, পেস্ট্রি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে। এই খাবারগুলো বাচ্চাদের দাঁতের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। প্রথম অবস্থায় এসব সমস্যার প্রতি খেয়াল না করলে পরে এগুলো জাঁকিয়ে বসে। তখন বার বার যেতে হয় ডেন্টিসের কাছে। তাতে যেমন যায় পয়সা, তেমনি কষ্ট পায় শিশু। তবে বাচ্চার দাঁতের যত্ন শুরু থেকে যদি নেওয়া যায় তাহলে ক্যাভিটি ও দন্তক্ষয়ের মতো রোগ থেকে দূরে রাখা যাবে।

দন্ত চিকিৎসকদের মতে, বাচ্চার দুধের দাঁত থেকেই যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ দাঁত ঠিক মতো গড়ে না উঠলে দেখতে খারাপ লাগা, খাবার চিবোনো কিংবা দাঁতের গড়নের সমস্যা তো হয়ই। অনেক সময় কথা বলাতেও সমস্যা তৈরি হয়। বাচ্চার দাঁতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হলো অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার। তাই বাজারচলতি প্যাকেটজাত ফ্রুট জুস না খাইয়ে, ফল কিনে তার রস খাওয়াতে পারেন। ছোট্ট বাচ্চার ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা এড়াতে সেই ফলের রসের সঙ্গে জল মিশিয়ে নিতে পারেন।

এবার জেনে নিন শিশুর দাঁতের যত্ন যেভাবে নিবেন…

* দেড়-দু’বছর বয়স থেকে ব্রাশ করা শুরু করতে পারেন। বয়স বাড়ার সঙ্গেই দিনে দু’বার ব্রাশিংয়ের অভ্যেস জরুরি। কোন বাচ্চা যদি চকলেট বা গ্রানোলা বার খায়, তবে তা খাওয়ার পরে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

* একটু বড় হলে সন্তানকেই বাছতে দিন নিজের টুথব্রাশ। নানা ডিজাইনের পাশাপাশি টুথব্রাশের ভাল-মন্দও গল্পের ছলে বুঝিয়ে দিন তাকে। তাতে ব্রাশের প্রতি তার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

* অন্তত আট বছর অবধি সন্তানের ব্রাশিং হোক আপনার সামনেই। ব্রাশিং মানে শুধুই এ-পাশে, ও-পাশে ব্রাশ বোলানো নয়। সন্তানের সঙ্গে ব্রাশ করুন, শেখান ব্রাশিংয়ের নিয়ম-কানুন। কারণ বাচ্চারা দেখে দেখে শেখে।

* শিশুর দাঁতের এনামেলের আবরণ পাতলা হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফ্লুরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করাতে পারেন। ফ্লুরাইড দাঁতকে শক্ত ও মজবুত করে তোলে।

* খাওয়ার সময়ে টিভি-মোবাইলে চোখ না রেখে সকলে মিলে একসঙ্গে বসে খাওয়ার অভ্যেস করুন। আর সন্তানকে ভাল করে চিবিয়ে খাওয়ায় অভ্যস্ত করান ছোট থেকেই। তাতে দাঁত মজবুত হবে।

* দাঁতের সেটিং এলোমেলো বা উঁচু-নিচু হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেটিং করাতে পারেন।

এভাবে ছোট থাকতে বাচ্চার দাঁতের যত্ন নিলে সবল হবে দাঁতের মাঁড়ি এবং দাঁতের সেটিং হবে সুন্দর।