March 28, 2024 | 11:41 PM

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন ছাড়াও খাদ্য পেয়ে থাকি। গাছ আমাদের বন্ধু। আর বন্ধু হিসেবে গাছ আমাদের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিটি মুহূর্তে গাছ মানুষের নির্গত কার্বন-বিষ পান করে আর মানুষের হৃৎপিণ্ড সচল রাখতে অক্সিজেন ছেড়ে দেয় বাতাসে।

বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারীর এই সময়ে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাকৃৃতিক অক্সিজেনের উপর ভরসা তো রাখতেই পারেন। তাই সতেজ বাতাসে শ্বাস নিতে ঘরে কিংবা অফিসে রাখুন কিছু উপকারী গাছ। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সেই গাছগুলো সম্পর্কে-

বাঁশ গাছ

বাতাসের দূষিত কণা টোলুইন, ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন ও ফর্ম্যালডিহাইডকে শোষণ করে ঘরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় এই বাঁশ গাছ।

আইভি

গবেষকদের মতে, এই গাছ মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের বাতাসের প্রায় ৬০ শতাংশ টক্সিন এবং ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত দুর্গন্ধ শুষে নিতে পারে।

ফিকাস

বাতাস পরিশুদ্ধ করতে খুবই উপযোগী এই গাছ। খুব বেশি আলো কিংবা জলের প্রয়োজন হয় না। তবে শিশুদের এই গাছটি থেকে দূরে রাখবেন। কারণ এই গাছের পাতা শরীরে বিষক্রিয়া করতে পারে।

অ্যালোভেরা

ঘরে কিংবা অফিসে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে অ্যালোভেরার জুড়ি মেলা ভার। বাংলায় যাকে বলে ঘৃতকুমারী। ঘরের মধ্যে কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইড, ফর্মালডিহাইডের মতো ক্ষতিকারক টক্সিন শোষণ করে নেয়। নয়টি এয়ার পিউরিফায়ার এর কাজ একাই করতে পারে একটা অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরা বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচার জন্য নিয়ম করে খান কেউ কেউ। এছাড়া রূপচর্চার জন্যও এটি ব্যবহার করা হয়।

তুলসি

ঘরে বা অফিসের ভেতর তুুলসি গাছ রাখলে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করবে। শুধু তাই নয়, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাসগুলোকে শোষণ করে ঘরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে তুলসি গাছ।

মানি প্ল্যান্ট

আয় বাড়াতে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে চেষ্টা করেন। সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়াতে পরিশ্রমের বিকল্প কিছু হয় না। তবে অনেক সময় দেখা যায় প্রবল পরিশ্রম করেও আয়ের  কোনো কিছুই চোখে দেখা যায় না। এমন সমস্যা দূর করতে অনেকেই বাড়িতে ‘মানি প্ল্যান্ট’ নিয়ে আসেন। বাড়িতে বা অফিসে এই মানি প্ল্যান্ট রাখলে আর্থিক উন্নতি হয়।

স্পাইডার প্ল্যান্ট

এই গাছটির বিশেষত্ব হলো খুব কম আলোতেও এরা সালোকসংশ্লেষ করতে পারে। ফলে অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত রাখে। স্টাইরিন, গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন বাতাস থেকে শুষে নিতে সক্ষম। একটা গাছ প্রায় ২০০ বর্গ মিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করে তুলতে পারে।

স্নেক প্ল্যান্ট

এই গাছ টক্সিন শোষণ বা অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই সেই সঙ্গে রাতেও এরা অক্সিজেন ঘরের মধ্যে ছাড়তে থাকে। খুব বেশি আলো কিংবা জলের প্রয়োজন হয়না এবং সহজে এই গাছ মরেও না। তাই অফিসে কিংবা ঘরের বেডরুমে রাখার জন্য সব থেকে আদর্শ এই গাছ।