বেঁচে থাকার প্রয়োজনে আমাদের খাবার খেতে হয়। তাছাড়া সুস্বাদু সব খাবার খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। তবে এমন কিছু মানুষ আছে যারা একটু বেশি খেতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ একটু ভোজন রসিক। এমন মানুষগুলো বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে ভালোবাসেন।
দেখা যায় হরেকরকম খাবারের মেলা শহরের অলিগলিতে থাকা রেস্টুরেন্টগুলো রোজই করে থাকে। তাইতো ভোজন রসিক মানুষগুলোকে প্রায়ই দেখা যায় বুফেতে। তবে কথা হচ্ছে বুফে তো খেতে গেলেন কব্জি ডুবিয়ে। কিন্তু এতসব রঙিন খাবার সাজিয়ে রাখা দেখে অনেকেই কনফিউজড হয়ে যান কোনটা রেখে কোনটা খাবেন। এক্ষেত্রে বুফে খেতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক আপনার বুফে যাওয়ার প্রস্তুতি কেমন হবে-
>> মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে থাকুন। সেটা হতে পারে এক মাস থেকে কয়েক মাস অবধি। সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খেতে যান। খাবারের বিভিন্ন ভিডিও দেখুন, বিদেশি বুফে খাওয়ার ভিডিও গুলো দেখতে পারেন। খাবার রান্না বা প্রস্তুত প্রণালী পুরোটাই দেখতে পারেন। এতে একটা আগ্রাসী মনোভাব তৈরি হবে, যা মানসিক প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
>> আশেপাশের বুফে গুলোর খোঁজ খবর নিতে পারেন। কোথায় কি কি খাবার থাকে সে সম্পর্কে জানুন। পছন্দের খাবারগুলো সিলেক্ট করুন। সেগুলোর ব্লগ বা রিভিউ ভিডিও দেখুন। রেসিপিও দেখতে পারেন।
>> খাওয়া নিয়ে কারোর সঙ্গে তেমন কোনো আলাপ করবেন না। কোনোরকম তর্ক যুক্তি বা চ্যালেঞ্জে যাবেন না। খাওয়ার সময় মনঃসংযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বুফে খাওয়ার ক্ষেত্রে তা আরো বেশি প্রয়োজন। কারণ এত এত লোকের সামনে প্রচুর খাবার খেতে হবে। তাই পুরো মনোযোগ খাবারে দিন।
>> কোনোভাবেই নার্ভাস হওয়া যাবে না। মনে রাখবেন নার্ভাস হয়ে গেলেই গোল আপনার হাত থেকে বেরিয়ে যাবে। খাবার খাওয়ার আনন্দই হারিয়ে ফেলবেন।
>> বুফে খেতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে তিনদিন ডায়েট মেনে চলতে পারেন। তিনদিনের ডায়েটে সকালের নাস্তা বাদ দিন, দুপুরের খাবার অর্ধেক করে ফেলুন, রাতেও না খাওয়াই ভালো। এতে খাওয়ার জন্য একটা আগ্রহ তৈরি হবে। যেটা বুফের জন্য সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে।