April 12, 2024 | 8:06 PM

চা’ ছাড়া বাঙালি ভাবা যায় না। শীতের পড়ন্ত বিকেলে অফিস ফেরত জনতা অথবা সন্ধ্যার পাড়ার মোড়ের আড্ডায় হাতে ‘চা’ থাকবেই থাকবে। ‘চা’ পাত্রটি এককালে হত মাটির ভাঁড়। এখন বিশ্বায়নের যুগে মাটির ভাঁড়, চিনামাটির কাপ, কাঁচের গ্লাস পেরিয়ে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিকের অথবা কাগজের কাপ। আর তার দৌলতেই আমাদের অজান্তে আরামের ‘সুরুত চুমুকের’ সাথে আমাদের দেহে ঢুকে পড়ছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কারসিনোজেনিক উপাদান। খড়্গপুর আইআইটির গবেষকদলের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

আইআইটির অধ্যাপক ও গবেষক সুধা গোয়েল বলেছেন, খরচ কমানোর জন্য এবং ধোয়াধুয়ির চটজলদি সমাধানের জন্য বেশিরভাগ চায়ের দোকানেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাগজের কাপ। আর সচেতনতার অভাবে তা থেকে শরীরে ঢোকা উপাদানের প্রভাবে বাড়ছে মুখ ও গলার ক্যানসারের প্রবণতা।

‘চা’ ছাড়া বাঙালি ভাবা যায় না। শীতের পড়ন্ত বিকেলে অফিস ফেরত জনতা অথবা সন্ধ্যার পাড়ার মোড়ের আড্ডায় হাতে ‘চা’ থাকবেই থাকবে। ‘চা’ পাত্রটি এককালে হত মাটির ভাঁড়। এখন বিশ্বায়নের যুগে মাটির ভাঁড়, চিনামাটির কাপ, কাঁচের গ্লাস পেরিয়ে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিকের অথবা কাগজের কাপ। আর তার দৌলতেই আমাদের অজান্তে আরামের ‘সুরুত চুমুকের’ সাথে আমাদের দেহে ঢুকে পড়ছে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কারসিনোজেনিক উপাদান। খড়্গপুর আইআইটির গবেষকদলের সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

আইআইটির অধ্যাপক ও গবেষক সুধা গোয়েল বলেছেন, খরচ কমানোর জন্য এবং ধোয়াধুয়ির চটজলদি সমাধানের জন্য বেশিরভাগ চায়ের দোকানেই ব্যবহৃত হচ্ছে কাগজের কাপ। আর সচেতনতার অভাবে তা থেকে শরীরে ঢোকা উপাদানের প্রভাবে বাড়ছে মুখ ও গলার ক্যানসারের প্রবণতা।

প্লাস্টিকের এই উপাদানে থাকে টক্সিক বিসফেল যা মুখ ও গলার ক্যানসারের অন্যতম কারন। সেই বিষ সরাসরি মানবদেহের অন্ত্রে পৌঁছে রক্তে মিশছে আর পৌঁছে যাচ্ছে অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কোষে কোষে। শুধু ক্যানসারই নয়, মাত্রাতিরিক্ত পলিইথিলিন কণা শরীরে জমলে তা পুরুষদের শুক্রাণু উৎপাদন কমিয়ে দেয়। মহিলাদের দেহে স্তন ক্যানসার হতে পারে। এছাড়া ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ ও কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে এই টক্সিন।

গবেষকরা বলছেন, অবিলম্বে এই ধরনের কাপের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব উপাদানের ব্যবহার বাড়াতে হবে। সমীক্ষা অনুযায়ী আগামীতে ভারতে ক্যানসার ১২% বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এখন গবেষণায় প্রাপ্ত ফল আগাম অশনি সঙ্কেত দিচ্ছে।