অতিরিক্ত টমেটো সস খাওয়া সাস্থের পক্ষে খুব ক্ষতিকর ? অবশই জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

সস দিয়ে সিঙ্গারা-সমুচা-চপ-পেঁয়াজু খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। এমনকি সকালের নাস্তাতেও অনেকের সস চাই-ই চাই। টিফিন বা ব্রেকফাস্টে যা খাচ্ছেন সবকিছুর সাথেই কি সস নিয়ে খেতে বসে পড়ছেন। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে একটু আধটু সস খাওয়া তেমন দোষের কিছু নয়। কিন্তু অনেকেই একটু বেশি পরিমাণেই খেয়ে থাকেন। এর ফলে যে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

টমেটো সস টমেটো দিয়ে তৈরি হয় বলে এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এটি চিজ বা মেয়োনিজ ডিপের তুলনায় ক্যালোরি কম বহন করে। কিন্তু তা সত্বেও সবকিছুর সাথেই সবসময় টমেটো সস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ঠিক নয়। সস যখন তৈরি করা হয় তখন তার মধ্য থাকে লবণ, নানা রকমের মশলা, সিরাপ ও চিনি।

সস তৈরি করতে যে সিরাপ ব্যবহার হয়, তাতেও স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা ফ্যাটি লিভারের মতো নানা রকম রোগও দেখা দিতে পারে শরীরে। তাই এক চা চামচ সস খেলে তেমন ক্ষতি না হলেও, কী দিয়ে খাচ্ছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই ওজন কমানোর সময়ে সস খাওয়া যতটা মুশকিলের, স্বাস্থ্যের পক্ষেও ততটাই বিপজ্জনক।

তাই বলে সস ছাড়াই খেতে হবে, তা নয়। বাড়িতেই যদি কম লবণ এবং চিনি বা সিরাপের বদলে গুড় কিংবা মধু দিয়ে টমেটো সস বানিয়ে নিতে পারেন, তা হলে সেটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হবে। এবং এই সস আপনি নির্দ্বিধায় ইচ্ছেমতো খেতেও পারবেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজার চলতি প্যাকেটজাত টমেটো সসে ফাইবার কিংবা প্রোটিন নেই বললেই চলে। অনেক সময় টমেটো ছাড়াই এ ধরনের সস তৈরি হয়। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় টমেটো সস। এতে প্রচুর পরিমাণে লবণ, চিনি, ফ্রুকটোস কর্ন সিরাপ এবং প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষতি করতে পারে। অধিক পরিমাণে টমেটো সস খেলে ওবেসিটির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটো সসে থাকা উচ্চ পরিমাণে চিনি এবং প্রিজারভেটিভ শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

অত্যধিক টমেটো সস খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়াও পাকস্থলীর নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। টমেটো সসের ব্যবহার আমাদের শরীরে বিভিন্ন অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ থেকে পুষ্টিবিদরা বাজারের কেনা টমেটো সস ছাড়াই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। যে খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে কিংবা স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তেমন খাবার প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করারও পরামর্শ তাদের। যাতে এই সময়ে শরীরে কোনো রোগ বাসা বাঁধতে না পারে।

সসের বিকল্প হিসেবে পুদিনা-ধনেপাতার চাটনি বানিয়ে রাখতে পারেন। কিংবা জল ঝরানো দইয়ের মধ্যে রসুন আর পেঁয়াজকলি দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু ডিপ বানিয়ে নিতে পারেন। ভাজাপোড়া খাওয়ার সময়ে এই স্বাস্থ্যকর ডিপ দারুণ লাগে খেতে।

১৭ গ্রাম সসের মধ্যে থাকে ১৯ ক্যালোরি। কিন্তু এই সস যখন ভাজাভুজির সাথে খাওয়া হয় তখন এর মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ কিন্তু অনেকটা বেড়ে যায়। শুধু ক্যালোরি নয়, তার সাথে পাল্লা দিয়ে শরীরে বাড়ে লবণের পরিমাণ। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও নানা রকম শারিরীক সমস্যার সূত্রপাত হয়।

Related News