মহিলাদের ৩০ পেরোলেই যেসব নিয়ম মেনে চলা উচিত,জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

পুরুষ এবং মহিলাদের শরীরের গঠনে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আপাত দৃষ্টিতে সেইসব ফারাকগুলো চোখে না পরলেও বাস্তবে কিন্তু পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের শরীর অনেক বেশি জটিল।

তাই তো মেয়েদের বেশি করে নিজেদের খেয়াল রাখা উচিত। আর আজকালকার দিনের মেয়েরা তো দশভুজা! একদিকে ঘর সামলাচ্ছেন, তো অন্য দিকে অফিস। তাই তো আপনাদের কাছে অনুরোধ আজীবন সুস্থ থাকতে এই প্রবন্ধে আলোচিত নিয়মগুলি মেনে লতে ভুলবেন না যেন! আর যদি এমনটা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন সারা জীবনটা সুস্থভাবে কেটে গেছে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, সেগুলি হল…

১. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে: ৩০-এর পর থেকে মহিলাদের হাড়ের স্বাস্থ্যের ব্যাপক অবনতি ঘটতে শুরু করে। তাই তো এই সময় বেশি করে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শুরু করতে হবে। সেই সঙ্গে সকাল ৭-৮ পর্যন্ত গায়ে রোদ লাগাতে হবে। এমনটা করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হবে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটার আশঙ্কা যাবে কমে। প্রসঙ্গত, জনপ্রিয় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারগুলির অন্যতম হল দুধ, দই, চিয়া বীজ, পনির, ব্রকলি, বাদাম প্রভৃতি

২. ভ্যাকসিন: যে যে রোগের ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া য়ায়, সেগুলি আপনি নিতে পারেন রিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। আর একটি বষয় মাথায় রাখবেন। বেশিরভাগ মেয়েরাই ক্যালসিয়াম ডেভিসিয়েন্সি এবং অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। এই দুটি ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া য়ায়, সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা জরুরি।

৩. হরমোনের ফাংশন ঠিক রাখতে… একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ৩০ এর পর থেকে মহিলাদের শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে হরমোনাল ফাংশন ঠিক মতো হয় না। ফলে নানাবিধ রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এই কারণেই তো নিয়মিত অশ্বগন্ধা এবং তুলসির মতো প্রকৃতিক উপাদান খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এমনটা করলে হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়বে চোখে পরার মতো।

৪. ডায়েটের দিকে নজর দিন: প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিন। সেই সঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন। প্রসঙ্গত, যাদের বয়স একটু বেশি তারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের পরমর্শ নিন। তাহলে দেখবেন অনেক রোগকেই গোড়াতেই সারিয়ে ফেলতে পারছেন।

৫. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখে গেছে নানা কারণে ৩০-এর পর থেকে মহিলাদের শারীরিক ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীর এত মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পরে যে কোনও কাজ করতেই মন চায় না। এমনটা যাতে আপনার সঙ্গে না ঘটে তা যদি সুনিশ্চিত করতে রোজের ডায়েটে মাংস, ডিম, নানাবিধ বীজ, বাদাম এবং ব্রাউন রাইসের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে ভুলবেন না যেন!

৬. জটিল রোগ সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে: যেসব রোগ শুধু মাত্র মেয়েদেরই হয়, যেমন- পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, ব্রেস্ট ক্যান্সার, ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের বিষয়ে একটু জেনে নিন। বিশেষত লক্ষণগুলি সম্পর্কে। এমনটা করলে দেখবেন অনেক রোগকেই আপনি প্রথম স্টেজে আটকে দিতে পারবেন। ফলে দীর্ঘ কষ্টের হাত থেকে বাঁচবেন।

৭. সুস্থ থাকতে স্ট্রেস কমাতেই হবে: স্ট্রেস হল এমন একটি বিষ, যা একটু একটু করে শেষ করে দেয় মানব জীবন। বিশেষত মেয়েদের শরীরের উপরে তো স্ট্রেসের খুব বাজে প্রভাব পরে। তাই আজ থেকেই স্ট্রেসকে টাটা-বাই বাই বলুন। প্রয়োজনে নিয়মিত প্রণায়ম করুন। এমনটা করলে দেখবেন অনেক রোগ দূরে থাকবে। প্রসঙ্গত, যারা মা হওয়ার কথা ভাবছেন, তারা স্ট্রেস থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। কারণ মানসিক চাপ শুধু আপনার উপর নয়, আপনার বাচ্চার উপরও কিন্তু কুপ্রবাব ফেলবে। আর এমটা হোক আপনি নিশ্চয় চান না।

Related News