March 29, 2024 | 12:51 AM

রাস্তা কিংবা বাড়ির আসে পাশে খুব অবহেলায় বড় হতে দেখা যায় আকন্দ গাছটিকে। গাছটিতে সাদা আর হালকা বেগুনী রঙের আভা মেশানো ফুল ফোটে। যত্ন ছাড়াই নিজেকে বেশ টিকিয়ে রাখে গাছটি।

জানেন কি, এটি মূলত একপ্রকারের ওষুধি গাছ। নানারকম স্বাস্থ্য সমস্যায় এর ছাল, পাতা, ফুল ব্যবহৃত হয়। অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছটির এত উপকারিতা আছে জানলে অবাক হবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এর গুণাবলি-

> গ্রামাঞ্চলে অনেকেই হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আকন্দ পাতা ব্যবহার করেন। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা মতে, ১৪টি আকন্দ ফুলের মাঝের চৌকো অংশ নিয়ে এর সঙ্গে ২১টি গোলমরিচ দিয়ে একসঙ্গে বেটে নিন। এবার এটি দিয়ে ২১টি বড়ি বানিয়ে নিন। প্রতিদিন সকালে জল দিয়ে একটি করে এই বড়ি খেলে হাঁপানি রোগের উপশম হয়।

> এই ওষুধ খাওয়ার সময় পথ্য হিসেবে শুধু দুধ ভাত খেতে হবে। তাহলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে।

> আকন্দ গাছের মূলের ছাল শুকিয়ে চূর্ণ করে নিন। এবার এই চূর্ণ আকন্দের আঠা দিয়ে মুড়িয়ে নিন। যা দেখতে অনেকটা সিগারেটের মতো হবে। এর ধোয়া গ্রহণ করলে হাঁপানি সমস্যা লাঘব হয়।

আকন্দ গাছ
আকন্দ গাছ> ফোঁড়া ফাটানোর কাজে আকন্দ পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়। আকন্দ পাতা দিয়ে ফোঁড়া চেপে বেঁধে রাখলে ফোঁড়া ফেটে যায়।

> বিছা কামড়ালে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আকন্দ পাতা ব্যবহার করা হয়।

> দেহের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেই স্থানটি আকন্দ পাতা সিদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিন। এতে সেখানে আর পুঁজ হবে না।

> বুকে সর্দি জমে গেছে? ঘরে থাকা পুরনো ঘি বুকে ম্যাসেজ করে নিন। ঘি মাখার পর বুকে আকন্দ পাতা গরম করে সেঁক দিন। দেখবেন খুব দ্রুত সর্দি ভালো হয়ে গেছে।

> খোস পাঁচড়া কিংবা একজিমা সমস্যায় আকন্দের আঠার সঙ্গে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করুন। এই গরম তেলের সঙ্গে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে একজিমা আক্রান্ত স্থানে ম্যাসেজ করুন। উপকার পাবেন।

> হাত বা পা মচকে গেলে আকন্দ পাতা দিয়ে গরম সেঁক দিন। ব্যথা উপশম হবে দ্রুত।