March 28, 2024 | 3:55 PM

কাশি, কফ এসব সমস্যার কারণে গলার স্বর পাল্টে যাচ্ছে কারো কারো। নিজের স্বর নিজের কাছেই অচেনা লাগে। কারো কারো গলায় ব্যথা দেখা দেয়। বুকে শ্লেষ্মা জমে কণ্ঠস্বর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রথমে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে উপকার পেতে পারেন।

শ্লেষ্মা গলার স্বরের সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে ব্যথানাশক উপাদান আছে অনেক। বিশেষত হলুদের সবচেয়ে সক্রিয় উপাদান হলো কারকিউমিন।

লেবুর শরবত : লেবুর শরবতে এসিড থাকে, যা গলার সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।

যষ্টিমধু : অনেক আগে থেকেই যষ্টিমধু গলার সমস্যার জন্য ব্যবহার করে আসছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এই ভেষজে অ্যান্টি অ্যালার্জিক উপাদান আছে। ব্যথাও কমায় এটি। তাই আপনার ক্ষতিগ্রস্ত কণ্ঠকে আগের মতো করতে যষ্টিমধু খেতে পারেন।

লবণ : গলার ইনফেকশন দূর করতে গরম জলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে গার্গল করলে বেশ উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম জলের সঙ্গে আধা টেবিল চামচ লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন।

আদা : ব্যথানাশক হিসেবে আদা অনেক প্রাচীন কাল থেকেই সমাদৃত হয়ে আসছে। আদার রস শরীরের জন্য খুব উপকারি। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে আদার রস ক্যানসারের কোষও মেরে ফেলে। আদা চা খেলেও উপকার পাবেন।

গোলমরিচ : আমাদের শরীরের জন্য গোলমরিচ খুব উপকারি। গলার সংক্রমণে গোলমরিচের ঘরোয়া চিকিৎসা নেয়া বেশ ফলপ্রসূ হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এই চিকিৎসা সমাদৃত। গরম জলের সঙ্গে এক চিমচি গোলমরিচের গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে তা পান করলে গলার ব্যথা, সংক্রমণ দূর হয়।

চা : চা পান করলে উপকার পাবেন। গলাব্যথা দ্রুত কমিয়ে দেবে চা। আর যদি দ্রুত উপকার পেতে চান, তাহলে গরম চায়ের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে গলার ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।

তবে ঘরোয়া এসব চিকিৎসার এক বা একাধিক উপায়ে যদি গলার সংক্রমণ বা ব্যথা না কমে, তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত আপনার।