March 28, 2024 | 6:53 PM

আপনার মানসিক চাপ হচ্ছে, অসময়ে ক্ষুধা লাগছে, মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে- এই পরিস্থিতিগুলোতে চুইংগামকে আমরা খুব ভরসা করি। চুইংগাম চিবালেই যেন সমস্যার সমাধান অনেকটাই হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুইংগাম চিবালে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। কারণ চুইংগামের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। আজ জেনে নেবো চুইংগাম খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে:

হতে পারে জাঙ্কফুড আসক্তি : গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে, মিন্ট ফ্লেবারের চুইংগাম খেলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। তবে এর পরিবর্তে ভাজাপোড়া এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। এই খাবারগুলো শরীরের কোনো উপকার তো হয় ই না, উপরন্তু একাধিক রোগ বয়ে নিয়ে আসে। যেমন- কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস এবং নানাবিধ হার্টের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বাড়তে পারে ওজনও।

পেশির ক্ষতি হয় : চুইংগাম চিবানোর সময় যতটুকু প্রয়োজন তার থেকে বেশি কাজ করতে হয় মুখের পেশিকে। দীর্ঘসময় ধরে এমন হতে থাকলে একসময়ে গিয়ে টেম্পোরামেন্ডিবুলার জয়েন্ট ডিজঅর্ডার এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এই রোগটি হলে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে প্রচণ্ড যন্ত্রণা দেখা দেয়।

পেটের রোগ : চুইংগাম চিবানোর সময় প্রচুর পরিমাণে বায়ু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে পেটে যন্ত্রণা, অস্বস্তি, হজমের সমস্যা সহ একাধিক পেটের রোগ দেখা দেয়। অ্যাসিডিটি এবং গ্যাসের মতো সমস্যা হওয়ার ক্ষেত্রেও চুইংগামের ভূমিকা থাকে।

মাথা যন্ত্রণা : চুইংগামে থাকা প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেবার এবং মাত্রাতিরিক্ত চিনির কারণে শরীরে টক্সিক উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়, যে কারণে মাথা যন্ত্রণা এবং অ্যালার্জির প্রকোপ বৃদ্ধির পাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

দাঁতের ক্ষয় হয় : অতিরিক্ত চুইংগাম খেলে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। কারণ চুইংগামে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। যার ফলে এই ক্ষয় হয়। এছাড়াও মুখ গহ্বরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দতে পারে। যার ফলে মুখের বিভিন্ন ইনফেকশন বা রোগ হতেই পারে।

ডায়রিয়া : ডায়রিয়ার সঙ্গে চুইংগামের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। কারণ এতে থাকা ম্য়ানিটোল এবং সর্বিটল নামে দুটি উপাদান থাকে। এগুলো আর্টিফিশিয়াল সুইটনার বা কৃত্রিম চিনি ইন্টেস্টাইনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়রিয়া, পেট খারাপ সহ নানারকম রোগের আশঙ্কা দেখা যায়।

ভ্রূণের ক্ষতি করে : গর্ভাবস্থায় চুইংগাম খাওয়া খুবই অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে সিনথেটিক উপাদান। এটি ভ্রূণের বৃদ্ধিতে বাজে প্রভাব ফেলে।