April 14, 2024 | 12:57 AM

ত্বকের রোগ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো এলার্জি। কমবেশি বহু মানুষের মধ্যেই এলার্জির লক্ষণ দেখা দেয়। এই এলার্জি সঠিক চিকিৎসা কি তা আজও সম্পূর্ণভাবে জানা যায়নি। তবে এলার্জিতে খুবই কাজে আসে কাঁচা হলুদ। এবার জেনে নেওয়া যাক এলার্জির ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।

১) এলার্জির ক্ষেত্রে দুধ ও হলুদ গুঁড়ো এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এককাপ দুধে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ মধু মিশিয়ে একটু গরম করে নেবেন। ঠান্ডা হয়ে গেলে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পান করুন।

২) আপনার যদি খুব এলার্জির সমস্যা থাকে তাহলে সকাল বেলায় খালি পেটে এক গ্লাস জল এর মধ্যে হাফ চা চামচ কাঁচা হলুদের রস বা কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে সেটিকে পান করুন দেখবেন এলার্জি থেকে অনেকটাই ভালো থাকবেন।

৩) হাফ চা চামচ মধু, কাঁচা হলুদ লিকার চায়ের সাথে মিশ্রণ করে দিনে দুবার পান করুন দেখবেন এলার্জি থেকে অনেকটাই ভালো থাকবেন।

৪) এক টুকরো হলুদ বেঁটে তার সাথে হাফ কাপ মধু, এক চা-চামচ লেবুর রস এবং দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশি বায়ুরোধী পাত্রে সেটিকে সংরক্ষণ করে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ করে একটি খান দেখবেন এলার্জি অনেকটাই কমে গেছে।

হলুদ খাওয়ার দুটি সহজ উপায়:
এক ইঞ্চি কাঁচা হলুদ এবং এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন। আপনার যদি অবিরাম শুকনো কাশি হয় তবে এটি প্রতিদিন খান। দুধের সঙ্গে হলুদ ফুটিয়েও পান করতে পারেন। এটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়। বিশেষ করে শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্তদের হলুদ দুধ খাওয়া উচিত, যাকে গোল্ডেন মিল্কও বলা হয়। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও হলুদ উপকারী হিসাবে পরিচিত।bs

আরও কিছু সুবিধা:

  • হজমে সহায়তা করে।
  • রক্ত পরিশোধিত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
  • পেটের আলসার দূর করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
  • শরীরে প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।