শসার খোসার কিছু আশ্চর্য জনক উপকারিতা, জেনেনিন

Written by News Desk

Published on:

খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি শসা। গুণে ভরা এই শসা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খুবই পছন্দের। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাদ্যতালিকায় শসা থাকবেই থাকবে। এছাড়াও শসার রয়েছে অনেক উপকারিতা।
তবে শসার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবার ধারণা থাকলেও, অনেকেই শসার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না। এমনকি অনেকেই মনে করেন শসার খোসা ক্ষতিকর। যে কারণে সালাদ কিংবা রান্নায় ব্যবহারের আগে শসার খোসা ফেলে দেন।

অথচ এর উপকারিতা সম্পর্কে জানলে তা কখনোই ফেলবেন না। কারণ শসার মতোই দারুণ স্বাস্থ্যকর ও উপকারী শসার খোসাও। তাই শসা খেতে হবে খোসাসহ। জেনে নিন শসার খোসার চমৎকার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত-

মেদ ও চর্বি কমাবে

হুটহাট ক্ষুধাভাব খুব জ্বালায়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর কোনো খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক টুকরা খোসাসহ শসা খেয়ে ফেলতে হবে। খোসাসহ শসায় কোনো ক্যালরি নেই বললেই চলে। ক্যালরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে শসা বেশ কার্যকর। তাই ক্ষুধা পেলেই নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে হবে ছোট একটি খোসাসহ শসা।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা কমায়

বিব্রতকর এ সমস্যার ক্ষেত্রে ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে খোসাসহ শসা। শসার খোসাতে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। অন্যদিকে শসার ভেতরের নরম অংশে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। উভয় প্রকৃতির আঁশ মলকে নরম করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে চমৎকার কার্যকরী।

চোখের সমস্যা ‍দূর করে

দারুণ এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবগত। শসার খোসা হলো ভিটামিন-এ-এর (বেটা-ক্যারটিন) বড় উৎস। চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ ভীষণ জরুরি। তবে শসার খোসা ফেলে দিলে ভিটামিন-এ আর অবশিষ্ট থাকে না।

ভিটামিন ‘কে’-এর অন্যতম উৎস

রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন ‘কে’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা পাওয়া যাবে শসার খোসাতে। এছাড়াও ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের পুষ্টিতে, মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও নির্দিষ্ট ধরণের কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে

ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি অনন্য। ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শসাতে নয়, শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণে উপকারী এ উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাই খোসাসহ শসা খেলে ত্বকের বয়সের ছাপকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।

তবে খেয়াল রাখতে হবে, খাওয়ার পূর্বে শসাকে অবশ্যই এক ঘণ্টা লবণ-জলের মিশ্রনে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে শসার খোসায় লেগে থাকা জীবাণু, রাসায়নিক ও ফরমালিন দূর হয়ে যাবে।

Related News