April 14, 2024 | 12:42 AM

সন্তান জন্ম দেয়া যে কতটা কঠিন, তা শুধু একজন মা’ই জানেন। ১০ মাস গর্ভধারণের সময় নিজের শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি সংসারের দায়িত্ব পালন। আর সন্তান জন্মের পর মায়েদের শরীর দুর্বল থাকে। যত্নের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনেকেই সন্তান সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না। ফলে দ্রুত বেড়ে যায় শরীরের ওজন। আর এই বাড়ন্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে ৩টি যোগাসন।

মা হওয়ার পরেও শরীর সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন। তাছাড়া সদ্যেজাতের দেখভালের দায়িত্ব থাকে মূলত মায়ের উপরই। তাই মায়ের আরও বেশিকরে সুস্থ থাকার প্রয়োজন পড়ে। মা হওয়ার কিছুদিন পর থেকে অনেকেই সন্তান সামলাতে গিয়ে নিজের দিকে তাকানোর সময় পান না। কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের যত্ন নেয়া প্রয়োজন। সময় মতো খাওয়া-দাওয়া করা, নিয়ম করে ব্যয়াম, যোগাসন করা শরীরের হাল ফেরাতে সাহায্য করে। খাওয়া-দাওয়াতে বিশেষ নজর দেয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে কয়েকটি যোগাসন করলে দ্রুত কমতে পারে ওজন।

চলুন দেখে নেয়া যাক, ৩টি যোগাসন কী কী-
ভুজঙ্গাসন: মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালু মেঝের ওপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখুন। এরপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে বাকি শরীর ধীরে ধীরে উপরের দিকে তুলুন। মাথা বাঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন অন্ততপক্ষে ৩-৪ বার এই আসনটি করতে পারেন। পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এই আসন।

ত্রিকোণাসন: প্রথমে দুটি পা ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। হাত দুটি দু’পাশে লম্বা করে দিন। এবার বাঁ দিকে শরীর বাঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু ভাঙবেন না। কয়েক মুহূর্ত এমনভাবে থাকার পর হাত দুটি না ভেঙে সোজা হয়ে দাঁড়ান। একইভাবে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ বার এই আসন করুন। আসনটি হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই আসনটি খুবই উপকারী হবে। মানসিক অবসাদ কাটাতেও দারুণ কার্যকরী এই যোগাসন।

নৌকাসন: প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একইসঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। বাহু ও পায়ের পাতা একইদিকে থাকবে। এ রকম নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে দম ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ২-৩ বার এই যোগাসনটি করতে পারেন। শরীরের পেশি শক্তিশালী হবে। ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।