March 28, 2024 | 9:24 PM

দেশে করোনার ঢেউ সবার মধ্যেই বাড়াচ্ছে আতঙ্ক।করোনাভাইরাস মহামারিতে বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব। এর থেকে বাঁচতে সতর্কতা এখনই জরুরি। নিশ্চয়ই জানেন, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন। তাইতো আমাদের উচিত আগে থেকেই এই মহামারি থেকে বাঁচার প্রস্তুতি নেয়া। এই কঠিন সময়ে আমাদের সবার উচিত বসবাসের স্থানে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করা।

এছাড়া বাসস্থানে অক্সিজেনের মাত্রা বেশি থাকলে ঘরের আবহাওয়াও ভালো থাকেব। এজন্য বেশি বেশি বৃক্ষরোপণের পরামর্শ দিচ্ছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে ঘরে পরিশুদ্ধ বাতাসের জন্য ইন্ডোর প্ল্যান্টেশনে জোর দিতে বলছেন তারা।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ঘরে কোন গাছগুলো অক্সিজেন বৃদ্ধি করতে সহায়ক-

>> শহরের ঘরগুলোতে বেশিরভাগই দমবন্ধ পরিবেশ থাকে। ঘরের ভেতরে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কাটাতে পারে তুলসী, স্নেক প্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা। একটি তুলসী গাছ ২০ ঘন্টা পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইডের মতো বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে ঘরের ভেতরে বাতাস পরিশুদ্ধ করে থাকে তুলসী।

>> শুধু তুলসী নয় অন্দরসজ্জায় থাকা অ্যালোভেরার গুরুত্বও অপরিসীম। ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ করতে এয়ার পিউরিফায়ার বসাতে হচ্ছে। কিন্তু একটা অ্যালোভেরা গাছ ঘরের বাতাসের স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে। একটি অ্যালোভেরা গাছ ৯টি এয়ার পিউরিফায়ারের কাজ করে থাকে। অ্যালোভেরা দ্রুত বাতাসে ক্ষতিকারক টক্সিনকে শোষণ করে নিতে পারে।

>> ইন্ডোর প্ল্যান্টেশনের মধ্যে স্নেক প্ল্যান্ট অনেক জনপ্রিয়। অনেক ঘরের ডাইনিং, বেডরুমে এই গাছ লাগিয়ে রাখেন। ঘরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই গাছ বাতাসে টক্সিন শোষণ করে নেয়। নাসার স্বীকৃতি পেয়েছে এই গাছ। একটা স্নেক প্ল্যান্ট বাতাসে ট্রাইক্লোরোথাইলিন এবং ফরমাল ডিহাইড জাতীয় শোষণ করে থাকে। স্টাইরিন গ্যাসোলিন জাতীয় টক্সিন‌ও শুষে নিতে পারেন। এতে বাতাস পরিশুদ্ধ হয়। প্রায় ২০০ বর্গমিটার এলাকার বাতাস পরিশুদ্ধ করতে পারে এই গাছ। এছাড়া রাতেও অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে।

>> বাঁশ গাছ‌ বাতাসের দূষিত কণা টোলুইন, ক্ষতিকারক টক্সিন বেঞ্জিন ও ফর্ম্যালডিহাইডকে শোষণ করে ঘরে অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে সক্ষম।

এসব গাছের জন্য বড় জায়গা লাগে না। ঘরে ছোট টবে এগুলো বেড়ে উঠতে পারে। এদের যত্ন পরিচর্যার বিশেষ প্রয়োজন হয় না। ঘরে এয়ারপিউরিফায়ার লাগানোর বদলে জানলাতে একটি গাছ লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ইন্ডোর প্ল্যান্টেশন জায়গা বেশি লাগে না। জানালা, বারান্দা ছাদ যেকোনো জায়গায় টবে জলের বোতলে গাছ লাগানো যায়। এছাড়া ভার্টিকাল গার্ডেন করা যায়। সেখানে সবজি, ফুল, বাহারি সব ধরনের গাছ লাগানো যায়। আর সবুজ থাকলে সেখানে কার্বনের মাত্রা কম থাকে।