April 17, 2024 | 2:44 AM

হেমন্তেই যেন শীত চলে আসছে। ঢাকায় এখনও তেমন শীত না পড়লেও ঢাকার বাইরে বেশ শীত পড়ে গেছে। জেনে নিন শীতে কোন ধরনের ত্বকে কেমন যত্ন নিবেন

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

যাদের ত্বক খুব তৈলাক্ত তারা ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজিংয়ের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবে এক্ষেত্রে টমাটোর রস খুব কার্যকর। ক্লিনজিং ও টোনিংয়ের পর লেটুস পাতার রস, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে লাগাতে পারেন। আনারস, আপেল, পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন

শুষ্ক ত্বকের প্রধান কাজ হল ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখা। ভিটামিন-ই অয়েল ১/২ চামচ, ১/২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রতিদিন লাগাতে পারেন। ত্বকে পুষ্টি জোগাতে ডিমের কুসুম, ১ চা-চামচ মধু, আধা চামচ অলিভ অয়েল ও গোলাপজল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ মি. রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন।

মিশ্র ত্বকের যত্ন

প্রতিদিন হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বকের শুষ্ক জায়গাগুলো অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। সিদ্ধ করা মিষ্টি কুমড়ো চটকে তার সঙ্গে মধু ও দুধ পরিমাণ মতো মিশিয়ে ২০ মি. রেখে তারপর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এ প্যাকটি সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

এছাড়া ত্বকের যত্নে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেন:

নিয়মিত ত্বকে ময়েশ্চারাইজ করুন

শীতে ত্বকের যত্নের শুরুতে একটি ভালো ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। বাজার থেকে বাদাম তেল বা এভাকাডো সম্বৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার কিনুন। এগুলো ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন অন্তত দুবার অথবা যতবার ত্বক শুষ্ক মনে হবে ততবার ব্যবহার করুন।

সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার

শীতকালেও বাইরে বের হওয়ার ৩০ ‍মিনিট আগে এসপিএফ ১৫-৩০ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

আর্দ্রতা বজায় রাখুন

শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে মাঝে মাঝে মুখে জলের ঝাপটা দিন। তাহলে সহজে ত্বক শুষ্ক হবে না।

অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার করবেন না

গোসলের সময় আরাম অনুভব হলেও অতিরিক্ত গরম জল দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, অতিরিক্ত গরম জল ত্বকের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। গোসলের সময় জলে কয়েক ফোটা জোজোবা বা বাদাম তেল দিয়ে নিলে তা ত্বককে আর্দ্র এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে।

ভেজা ত্বকে পরিচর্যা করুন

গোসলের পর এবং প্রতিবার মুখ ধোয়ার পর ভেজা ‍অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

ঠোঁটের পরিচর্যা

কখনোই ‍জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিৎ নয়। কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মধুর সাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট কখনোই ফেটে যাবে না।

চুলের যত্ন
শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে মাথার ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। এজন্য সপ্তাহে অন্তত একদিন প্রোটিন প্যাক ব্যবহার করতে হবে। আমলকীগুঁড়া, হরীতকীগুঁড়া, বহেরাগুঁড়া, মেথিগুঁড়া, ব্রাহ্মিগুঁড়া, হেনাগুঁড়া, ডিমের সাদা অংশ, টক দই, জল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে আধা ঘণ্টা মেখে পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং খুশকি দূর হবে।

হ্যাট পরুন

চুল এবং মাথার তালুর আর্দ্রতা ধরে রাখতে হ্যাট পরুন। তবে হ্যাটটি যাতে বেশি টাইট না হয় সে দিকে খেয়াল রাখবেন।

হাত ও পায়ের যত্ন

হাত এবং পায়ের আর্দ্রতা ধরে রাখতে যতবার প্রয়োজন ততবার লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

রূপচর্চার পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত খাবারের প্রতিও। সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া শরীরের ভেতরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর জল পান করুন।