১. পরিকল্পনায় নমনীয়
অবসর জীবনটাকে সাজাতে আপনার একটা প্রাথমিক চিন্তাভাবনা রয়েছে। সঞ্চিত অর্থ কাজে লাগিয়েই ভবিষ্যৎকে দুশ্চিন্তামুক্ত করতে চায় সবাই। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নমনীয় হোন। পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনুন। নির্দিষ্ট তালিকায় সেঁটে থাকবেন না। অসংখ্য পথ বেরিয়ে আসবে।
২. উদ্দেশ্য নিয়ে বিনিয়োগ
আপনার পোর্টফোলিও কেবল বিনিয়োগের হিসাব নয়, এটা বিভিন্ন সুবিধা ভোগের উপলক্ষ। এমন খাতে বিনিয়োগ করুন, যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুবিধা ছাড়াও অন্যান্য সুযোগ লাভ সম্ভব।
৩. ঝুঁকি
অবসরের পর যে খাতে বিনিয়োগ করবেন, তার ঝুঁকি ও এর মাত্রা নিয়ে ভাবুন। বিভিন্ন পোর্টফোলিও ও কৌশল বিশ্লেষণ করুন। যেখানে ঝুঁকি বেশি, সেখান থেকে আপনার দূরত্ব হবে তত বেশি।
৪. বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ
সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো, সম্ভাবনাময় অথবা প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ করা। অবসরের পর সবার কাছেই সীমিত অর্থ গচ্ছিত থাকে। তবে যাই সঞ্চিত রয়েছে, তাকে ছোট ছোট আকারে ছড়িয়ে দিন। এতে একটি খাত ধসে পড়লেও অন্যান্য খাত আপনাকে টিকিয়ে রাখবে।
৫. খরচে ভারসাম্য
বাজেটটাকে গুছিয়ে আনুন। খরচের খাতগুলো স্পষ্ট করুন। এ তালিকার বাইরে যাবেন না। কিছু অযাচিত খরচ চলে আসবেই। খরচ এলোমেলো না হলে বাড়তি ঝামেলা গায়ে লাগবে না।
৬. উন্নয়ন চিহ্নিত
পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর পর উন্নয়ন পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। সুষ্ঠু বিনিয়োগ হলে তার ফল পরিষ্কার দেখতে পাবেন। যদি দেখেন, আশানুরূপ কিছু আসছে না, তবে ওই খাত থেকে ফিরে আসুন। আয় বা উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ করলে প্রাথমিক পরিকল্পনার ভুলগুলো সহজে বেরিয়ে আসবে। সিদ্ধান্ত ভুল বলে মনে হলে সেখান থেকে ফিরে আসা বাঞ্ছনীয়। এ কারণেই এমন সব খাতে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে যেখান থেকে সহজে ফিরে আসা যায়।