পেটের বাড়তি ভুঁড়ি খুবই অস্বস্তিকর। এই ভুঁড়ি নিয়ে অনেক সময় লজ্জায়ও পড়তে হয়। তাছাড়া পেটের ভুঁড়ি ডেকে আনতে পারে মারাত্মক সব রোগও। তাইতো সময় থাকতে সচেতন হওয়া জরুরি। নতুন বছরে নিশ্চয়ই অনেক কিছু পরিবর্তনের সংকল্প নিয়েছেন। তাহলে ভুঁড়ি কমানো এই তালিকায় প্রথমের দিকেই রাখুন।
তবে ভুঁড়ি কমানোর কথা ভাবা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। কিন্তু কিছু সহজ টোটকা জানা থাকলে এই কঠিন কাজটিও সহজ হয়ে যাবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নতুন বছরে ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু টোটকা সম্পর্কে-
>> লবণের পরিমাণ কমান। এই কাজটি বেশ শক্ত হলেও খুব কার্যকর। লবণের সোডিয়াম থেকে হয় ব্লোটিং, বা পেট ফুলে যাওয়া। আর তাতে কমে যায় শরীরের বিপাকীয় গতি যার জন্য ভুড়ি কমানো হয়ে ওঠে কষ্টকর।
>> অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না। মিষ্টান্ন বা ডেসার্টে থাকে অসম্পৃক্ত তেল এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি। চিনি আমাদের শরীরে থেকে যায় অনেক বেশি সময় ধরে এবং ওজন কমতে দেয় না। এরই মধ্যে পরে কার্বনেটেড পানীয়ও।
>> সময় আনুযায়ী খান এবং যথেষ্ট ঘুমান। শরীরচর্চা করায় এটাই প্রথম পদক্ষেপ। অসময়ে খেলে, বিশেষ করে রাতে, ভালো ভাবে হজম হয়ে না খাবার আর তাতে বাড়ে ভুড়ি। ভালো করে, যথেষ্ঠ ঘুম সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
>> প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। প্রোটিন হজম হতে সময় লাগে, তাই অসময়ে খিদে পায় না এবং একই সঙ্গে শরীরকে দেয় তেজ ও শক্তি। মাছ, মাংস, ডিমের বাইরে প্রোটিন থাকে ডাল, কাঠবাদাম, সবুজ সবজি এবং ওটসে।
>> জল খান বেশি করে। অবাক শোনালেও স্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন কমাতে জল পানের বিকল্প নেই। শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখা মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
জলের সঙ্গে সঙ্গে, গ্রিন টি, লাল চা, দুধ ছাড়া কফি বা ফলের রসও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। জল দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে আর অসময়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আপনাকে দূরে রাখে।