April 13, 2024 | 8:29 AM

নারীদের ক্ষেত্রে পিরিয়ড খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। আবার অনিয়মিত পিরিয়ড বা ঋতুর সমস্যাও সাধারণ সমস্যা হিসেবেই ধরা হয়। বর্তমানে অধিকাংশ নারীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। এর কোনো বয়সসীমা নেই। যেকোনো বয়সেই নারীদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নানা কারণ এমনটা হতে পারে। হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া, চিকিৎসাজনিত কোনো সমস্যা বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এর যেকোনোটার কারণেই অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে। আর এ থেকে হতে পারে অন্যান্য আরো অনেক মানসিক সমস্যা। যেমন, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, উত্তেজনা প্রভৃতি। যার ফলে গুরুতর মানসিক রোগের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

জেনে নিন তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া ও নিরাপদ উপায়- 

জিরা ও পার্সলে পাতা 
প্রাচীনকাল থেকে মাসিক সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় ব্যবহার করা হয় পার্সলে। ৬ গ্রাম পার্সলে পাতা ১৫০ মিলিলিটার সিদ্ধ করে নিয়ে তা দিনের যেকোনো সময়ে বা ভাগে ভাগে খেতে পারেন। রোজ এই পদ্ধতি মেনে চলুন। একইভাবে জিরাও খেতে পারেন। এর কাজও অনেকটা একই রকমের।

জোয়ান 
জোয়ানের রস এবং গুড় একসঙ্গে খেলে মাসিক সংক্রান্ত সমস্যা এমনকি ঋতুকালীন সময়ের ব্যথা, জ্বালা যন্ত্রণা সব সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। ১ চামচ জোয়ানের রস এবং ১ চামচ গুড় ১ গ্লাস জলে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন।

পাকা পেঁপে 
অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী হলো পাকা পেঁপে। ছোট ছোট টুকরো করে কেটে বা পেঁপের রস করে দিনে দুবার খেতে পারেন।

আদা 
এক্ষেত্রে আদা চাও কিন্তু অত্যন্ত উপযোগী। তবে আদার ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যেমন গ্যাস, অম্বল ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনি আদা-চায়ের সঙ্গে পার্সলেও ব্যবহার করতে পারেন।

ধনে ও মৌরি
আস্ত ধনে এবং মৌরি অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। ২ কাপ জলে ১ চা চামচ আস্ত ধনে দিয়ে ফুটিয়ে নিন, যতক্ষণ না জলের পরিমাণ কমে এক কাপ হচ্ছে। ছেঁকে নিয়ে এই জল দিনে ৩ বার খান। আপনার মাসিকের নির্ধারিত দিনের ৫-৬ দিন আগে থেকে টানা খেলেই হবে। একইভাবে মৌরির জলও তৈরি করুন। এই জল প্রত্যেক দিন সকালে খান। উপকার পাবেন।