ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা সুস্থ ত্বকের জন্যই হোক অথবা ত্বকের সুরক্ষায় আমরা নানা ধরনের প্রসাধনসামগ্রী ব্যবহার করে থাকি। কসমেটিকস বা প্রসাধনী পণ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের কথা কমবেশি সবারই জানা। এমনকি তথাকথিত হারবাল ও অর্গানিক প্রসাধনীও ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়। তাই ত্বকের যত্নে নতুন বছরে চাই নতুন পরিকল্পনা। প্রসাধনী ব্যবহার না করে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ রাখার উপায়গুলো জেনে নিন।
- নতুন বছর থেকে প্রতিদিন তিন লিটার করে জল পান করার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক থাকবে।
- নতুন কোনো কসমেটিকস বা প্রসাধনী পণ্যে কেনার আগে অন্তত দুইবার ভাববেন। কারণ হতে পারে আপনার কাছে হয়তো আগের কসমেটিকস বা প্রসাধনী পণ্যগুলোই এখনও শেষ হয়নি।
- শীত বা গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা নয়, বছরের সব ঋতুতেই চেষ্টা করবেন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে।
- সব সময় নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের যত্ন নেবেন। আর ভুলে গেলে চলবে না, সৌন্দর্যের মূল শিকড় ছড়িয়ে আছে আপনার শরীরের ভেতরে, সেই সাথে মনেও। শুধু বাইরে থেকেই নয়, যত্ন নিতে হবে আপনার গভীরতম সৌন্দর্যের। তবেই তা প্রতিফলিত হবে আপনার চোখে-মুখে।
- শুধু মুখের ত্বকে যত্ন নয়, শরীরের ত্বক ভালো রাখতেও নিয়মিত স্ক্রাব করুন। কারণ, স্ক্রাব ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে নিশ্বাস নিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রুক্ষ ত্বক কোমল করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এ ছাড়া ত্বকের উপরিভাগে হালকা দাগ ও ময়লা দূর করে।
- শীতকালে তো বটেই, তবে অন্যান্য ঋতুতেও ব্যবহার করবেন ময়েশ্চারাইজার। এটি ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এর প্রভাবে ত্বক থাকে সজীব ও মসৃণ।
- বছরজুড়ে মেকআপে ব্যবহৃত স্পঞ্জ, ব্রাশ, তুলি, ব্লেন্ডার ভালো করে পরিষ্কার করে রাখবেন। ব্যবহার করার পর ফেলে রাখবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।