March 29, 2024 | 10:23 AM

এখন অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে অর্থাৎ পারিবারিক সূত্রে অল্পবয়সে চুল পেকে যাওয়ার ধাঁচ রয়েছে। কিন্তু স্ট্রেস, ড্রায়ারের ব্যবহার, স্টাইলিং প্রোডাক্টের ব্যবহার, রোদে বেশি ঘোরাঘুরির কারণেও চুল পেকে যায়। এটি সহজেই আটকানো যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে অকালপক্কতা নিরাময়ের জন্য একটি পাতা অত্যন্ত কাজে আসে। সেটি কারি পাতা। এই কারি পাতা যদি চুলের গোড়ায় লাগানো যায়, তা পুষ্টি বৃদ্ধি করে। নতুন চুলও গজায়। চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন কারি পাতার হেয়ার মাস্ক।

ব্যবহার করবেন যেভাবে:

নারকেল তেল গরম করে নিতে হবে প্রথমে। এরপরই বার্নার বন্ধ করে পাতাগুলো দিয়ে দিতে হবে।

পাতার গন্ধ ও পুষ্টিগুণ যাতে পুরোপুরি তেলের সঙ্গে মিশে যায়, সেই সময়টুকু দিতে হবে। অন্তত ২০ মিনিট। এরপর তেল পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে উষ্ণ তেল ভালো করে মাথার চুলে ও চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করতে হবে।

সারারাত সেই তেল মাথায় রেখে পরদিন শ্যাম্পু করা যেতে পারে। একই সঙ্গে জলে পাতিলেবু দিয়ে কন্ডিশনিংও করে নিতে হবে।

আরও একটু বেশি ফল পেতে ধোয়ার আগে চুলে ভিটামিন ই তেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল নরম হবে।

এছাড়াও এ পাতার আরো অনেক উপকারিতা আছে। যেমন-

হজম ক্ষমতা বাড়ায়

খালি পেটে কারি পাতা খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কারণ, এই পাতা হজমের সাহায্যকারী এনজাইমকে উদ্দীপিত করে। অন্ত্র ভালো রাখে। আর হজম হলেই কোষ্ঠকাঠিন্য কমবে।

বমি বমি ভাব কমায়

কারি পাতা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, যা আপনাকে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে সহায়তা করে।

ওজন কমায়

কাঁচা কারি পাতা চিবালে ওজন কমে, হজমশক্তি বাড়ে, ডিটক্সিফিকেশন হয়, ভালো কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়ে।

এছাড়া এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও কোলেস্টোরেলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

সতর্কীকরণ: যেকোনো বিশেষ ধরনের খাদ্য পরিকল্পনা অনুসরণের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া জরুরি।rs