April 13, 2024 | 6:32 AM

অফিসে কাজের জন্য একটানা তাকিয়ে থাকতে হয় কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের দিকে। বাড়িতে ফিরেও আবার চোখ স্মার্টফোনের দিকে। এই প্রযুক্তি নির্ভরশীলতার কারণে যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার চোখ দু’টো, সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন কি?

একটানা কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে ও ‘ড্রাই আইস’ এর মতো সমস্যা দেখা যাচ্ছে হরহামেশাই। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিশক্তির সমস্যা তো রয়েছেই। এজন্য জেনে নিন চোখের ক্ষতি না করে স্মার্টফোন ব্যবহারের কৌশল-

১. ডিসপ্লের ওপর একটি আলাদা করে স্ক্রিন প্রটেক্টর গ্লাস আজই লাগিয়ে নিন।

২. ফ্রন্ট (অক্ষর) সেটিং গিয়ে ফ্রন্ট সাইজ বড় রাখতে চোখের উপর প্রেসার কম পড়ে।

৩. মোবাইলে যদি ব্লু লাইট ফিল্টার অ্যাপ থাকে তাহলে সেটা অন রাখতে হবে। না হলে ব্লিু লাইট অ্যাপ টি ডাউনলোড করে সেটিং করে নিয়ে ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি কম হয়।

৪. ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কম রাখা।

৫. মোবাইলে রিডিং মুড অপশন থাকলে কোনো লেখালিখি পড়া বা লেখার সময় চালু রাখা।

৬. মোবাইল অন্ধকারে জায়গায় ব্যবহার না করে একটু আলোকিত জায়গায় ব্যবহার করা উচিত। কারণ যখন আমরা কোনো মোবাইল অন্ধকারে ব্যবহার করি তখন ডিসপ্লে থেকে আলো সরাসরি চোখে এসে পড়ে। যা চোখের অনেকটা ক্ষতি করে। বেশিক্ষণ এমন চললে মাথা যন্ত্রণা, চোখ দিয়ে জল পড়া এ সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

৭. শুয়ে একপাস ফিরে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে তাই এক পাশ ফিরে না শুয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে বা বসে বা দাঁড়িয়ে ব্যবহার করুন। এতে চোখের উপর চাপ কম পরে ও চোখের ক্ষতি কম হয়।

৮. অনেক মোবাইলের অ্যান্টি-গ্লোয়ার স্ক্রিন লাগানো থাকে আর না থাকলে কিনে নিন। এটি চোখে যে নীল আলোর রশ্মির পরিমাণ অনেকটা হ্রাস করে।

৯. মোবাইল ব্যবহারের সময় নোংরা, তেলতেলে ভাব ডিসপ্লের গ্লাসে থাকার জন্য মোবাইলে কিছু দেখতে খুব অসুবিধা হয়। তাই মাঝে মাঝে ডিসপ্লে পরিষ্কার করুন।

১০. খুব কাছে থেকে একনাগাড়ে মোবাইলে কিছু দেখলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১১. যদি চোখে অস্বস্তি লাগে তাহলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখা দরকার অথবা দূরে দিকে দেখা ৩০ সেকেন্ড অথবা এক মিনিটের জন্য। এতে চোখ কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম পেতে পারে।rs