April 13, 2024 | 5:43 AM

তেঁতুল সবার পছন্দের টকজাতীয় একটি ফল যা আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যায়। তেঁতুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। তেঁতুলের রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত জল হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করা প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। এছাড়া তেঁতুল দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। আসুন জেনে নেই তেঁতুলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুন সম্পর্কে।

হার্ট ভাল রাখে
তেঁতুলে উপস্থিত ফ্ল্যাভরনয়েড খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে উপস্থিত উচ্চ পটাশিয়াম রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের খারাপ ফ্যাট) জমতে দেয় না।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
তেঁতুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তেঁতুলের মধ্যে টার্টারিক অ্যাসিড‚ ম্যালিক অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোষ্ঠন্যকাঠিন্য দূর করে।

ডায়বেটিস কন্ট্রোল করে
তেঁতুল রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত আলফা এমাইলেজ এনজাইম রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং তেঁতুল ডায়বেটিস কন্টোল করতে সক্ষম।

ত্বক উজ্জ্বল করে
তেঁতুল ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে-র হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে। এছাড়াও তেঁতুলে উপস্থিত হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের এক্সফলিয়েশন করতেও সাহায্য করে যার ফলে মরা কোষ উঠে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।

ওজন কমায়
শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেতুল। এতে টারটারিক এ্যাসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে। তেঁতুল সম্পূর্ণ ফ্যাট ফ্রি এবং এতে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার আছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজ তেঁতুল খেলে ওজন কমে।

ক্যান্সার রোধ করে
তেঁতুলে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে যা কিডনি ক্যান্সার রোধ করতে সাহায্য করে।

সর্দি কাশি সারাতে সাহায্য করে
তেঁতুল অ্যালার্জি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়।

তাছাড়া তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক এবং খিদে বাড়ায়। তেঁতুল খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে বেশি খেলে রক্তের চাপ কমে যেতে পারে।rs