March 28, 2024 | 11:59 PM

সারাদিন কেমন কাটবে তার একটা আভাস সকালেই পাওয়া যায়। নতুন আশা, নতুন আকঙ্খা জড়িয়ে থাকে প্রতিটা সকালেই। দিনের শুরুটা তাই সঠিকভাবে করতে পারলে গোটা দিনে একটা পজিটিভ এফেক্ট জড়িয়ে থাকে। তাই দিনের শুরুটা জমিয়ে করুন, দেখবেন গোটা দিনে এনার্জিতে টগবগ করছেন আপনি।

মনে করা হয় সকালবেলাটাই দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। দিন শুরুর প্রথম দু-ঘণ্টা আপনি কী ভাবে কাটাবেন, তার ওপরেই নির্ভর করে বাকি দিনটা আপনার কী ভাবে কাটবে। দিনের শুরুতে সাতটি কাজ করতে পারলে গোটা দিনে আপনিই থাকবেন চাঙ্গা!

ঘুম থেকে উঠেই নিজের বিছানা নিজে পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন। অনেকেই এই কাজটা না করলেও সব কাজ গুছিয়ে করার জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। খুব সাধারণ এই ঘরের কাজ আপনার মনের ওপর পজিটিভ প্রভাব ফেলে। সকালবেলা গুছিয়ে তোলা বিছানা আপনাকে মানসিক পরিতৃপ্তি দেয়। তাই দিনের শুরুতে এটাই হোক আপনার প্রথম কাজ।
ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জল খেতে ভুলবেন না। সকালে শরীরকে আর্দ্র করা অত্যন্ত জরুরি। সকালে উঠে জল খেলে শরীর এনার্জি পাবে, ঘুমিয়ে থাকা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ঠিকমতো কাজ শুরু করবে। সকালে উঠেই এক গ্লাস জল আপনার শরীরে সারারাত ধরে জমা টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে।
এরপর করতে হবে ব্যায়াম। জিম হোক বা সাঁতার, হাঁটা হোক বা জগিং- সকালে উঠে ওয়ার্ক আউট কিন্তু মাস্ট। এর ফলে শুধু আপনার শরীর নয়, এনার্জি পাবে আপনার মনও। কাজ করার নতুন উদ্যম পাবেন আপনি।
সারাদিন আপনি কী কী করবেন, তা একটা তালিকা তৈরি করে ফেলুন এবার। যদি ব্যাংকে যেতে হয় বা ডাক্তারের কাছে অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকে, পাশে পাশে তার সময়ও উল্লেখ করুন। প্রায়োরিটি অনুযায়ী কাজগুলো সাজিয়ে ফেলুন। দেখবেন অনেক সহজে সব কাজ হয়ে যাচ্ছে।

সকালে উঠেই সেলফোন ঘাঁটা বন্ধ করুন। নতুন কী নোটিফিকেশন এল, তা দেখতে সকালে অনেকটা সময় নষ্ট হয় আমাদের। তাই ফোন ঘাঁটাঘাটি বন্ধ রেখে সকালে বেশ কিছুটা সময় শুধু নিজের জন্য রাখুন।
এবার আপনি চটজলদি সারাদিনের জন্য তৈরি হয়ে নিন। ব্রাশ করা, স্নান সারা, জামাকাপড় রেডি করে রাখা- সব সেরে ফেলুন ঝটপট। কোনটার পরে কোনটা করবেন তা ঠিক করে ফেলুন।
মর্নিং রুটিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ব্রেকফাস্ট। সকালের খাবার হবে স্বাস্থ্যকর ও পেটভর্তি। যা খুশি খেয়ে কাজে বেরিয়ে যাবেন না। দরকার হলে আগের দিন ঠিক করে রাখুন, পরের দিন ব্রেকফাস্টে কী খাবেন।rs