April 13, 2024 | 5:33 AM

জিঙ্ক বা দস্তা নামক খনিজ উপাতান মানবদেহের জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞদের মতে,দৈনিক নারীদের ৮ মিলিগ্রাম ও পুরুষদের ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক খাওয়া জরুরি। জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি প্রোটিন উৎপাদন , ডিএনএ তৈরি ও দেহের স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করে। তবে জিঙ্কের অভাব হলে শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে শুরু করে।

এমনকি জিঙ্কের অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। তাই কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমেই খেয়াল রাখতে পারবেন আপনার শরীরে জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানের ঘাটতি আছে কি না-

>> জিঙ্ক ত্বক ভালো রাকে। এমনকি কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এই খনিজ। তবে আপনার শরীরে যদি জিঙ্কের ঘাটতি থাকে তাহলে ক্ষতস্থানে রক্ত পড়া বন্ধ হতে ও ঘা শুকাতে দেরি হবে। এমনকি মুখের ব্রণ নিরাময়েও দেরি হয় শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে।

>> হঠাৎ করেই ওজন কমে যাওয়া কোনো ভালো লক্ষণ নয়। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি থাকলে ক্ষুধাভাব কমে যায়। আর কম ক্ষুধা লাগার কারণে খাওয়াও কম হয়। ফলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না আবার কমে যেতে পারে ওজন।

>> জিঙ্ক চুল, চুলের গোড়া ও মাথার ত্বক ভালো রাখে। জিঙ্কের অভাবে চুল পড়ে যাওয়া, চুলের আগা ভাঙা কিংবা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে নখে দেখা যেতে পারে সাদা দাগ।

>> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জিঙ্ক। ফলে জিঙ্কর অভাবে শরীরে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ কারণে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা সারতে চায় না।

গবেষণা বলছে, বয়স্কদের ক্ষেত্রে জিঙ্কের অভাবে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে প্রায় ৬৬ শতাংশ।

>> জিঙ্কের অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা ঝাপসা দেখার সমস্যারও সৃষ্টি হয়। এ ধরনের যে কোনো সমস্যায় দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন। পাশাপাশি দৈনিক নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী জিঙ্ক খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করুন।rs