March 29, 2024 | 2:59 PM

অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া, ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা কমে যাওয়া এবং খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল-এর মাত্রা বেড়ে যাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, কার্বোহাইড্রেট ও চর্বির বিপাকে সমস‌্যার কারণে লিভারে ফ‌্যাট জমে। এই বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে কিছু খাদ‌্য দৈনন্দিন খাবারে গ্রহণ ও বর্জনের মাধ‌্যমে, ফ‌্যাটি লিভারের সমস্যাকে কমিয়ে এনে, লিভারের জন‌্য একটি সুরক্ষাকবচ তৈরি করা যায়।

যা খাবেন

> কফি, গ্রিন টি- সারাদিনে দু’কাপ চিনি ছাড়া যেকোনও একটি পান করলে এদের মধ্যে উপস্থিত অ‌্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের ক্ষতিকারক এনজাইমের মাত্রা নষ্ট করে ফ‌্যাটি লিভারের সম্ভাবনা কমায়।

> বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, গড়ে ১৫ সপ্তাহ নিয়মিতভাবে রসুন খেলে, লিভারে ফ‌্যাট কমাতে সাহায‌্য করে, ফলে ফ‌্যাটি লিভার কন্ডিশনের মাত্রা কম হয় ও লিভার এনজাইমের মাত্রার ব‌্যালান্স থাকে।

> সয়াবিন ও সয়াজাত অন‌্যান‌্য খাদ‌্যদ্রব্যে conglycenin নামক প্রোটিন থাকে, যা ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করে।

> জটিল শর্করা ও ওটস অর্থাৎ ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ‌্য যা লিভার ও পেটের ফ‌্যাট কমাতে সাহায‌্য করে। ওটসের বদলে ডালিয়া, ব্রাউন রাইস, হোল হুইট আটাও খাওয়া যেতে পারে।

> সবুজ শাকসবজি, পেঁপে ও যেকোনও লেবু ফাইবারযুক্ত ও কম ফ‌্যাটযুক্ত হয়। এগুলো ওজন কমাতে উপকারী। ব্রোকোলি ও কাঁচা হলুদ আরও উপকারী, কারণ এগুলো লিভার সেলে ফ‌্যাট জমতে দেয় না।

যা খাবেন না

সঠিক খাদ‌্য গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে, কিছু খাদ‌্য বর্জনেরও প্রয়োজন আছে। যেমন- সহজ শর্করা কমিয়ে দিতে হবে।

সফট ড্রিঙ্ক, চকোলেট, আইসক্রিম, অ‌্যালকোহল, বেকারির খাবার, তেলেভাজা, কাঁচা লবণ, রেডমিট, নারকেল, সরষেবাটা, বাটার, ঘি-চর্বিযুক্ত মাছ, অ‌্যাডেড সুগার ইত‌্যাদি বর্জনীয়।

এসব ছাড়াও স্বাস্থ‌্যকর জীবনযাপন ও খাদ‌্যাভ্যাসের মাধ‌্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে ফ‌্যাটি লিভারের সমস‌্যা থেকে দূরে থাকা যায়। কারণ দেখা গিয়েছে যে, যদি সামগ্রিক ওজনের ১০% কমানো যায়, তবে ফ‌্যাটি লিভারের পরিমাণ ৩-৫% কমানো যায়।rs