আপনার কান কি ভার ভার লাগছে? জেনেনিন বিশেষজ্ঞদের মতামত

Written by News Desk

Published on:

ব্যাপক শব্দদূষণ কিংবা ঠাণ্ডা-সর্দিতে অনেক সময়ই দুই কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর অর্থ হঠাৎ করেই মনে হবে কানে কম শুনছেন এবং কান ভার ভার লাগবে। বেশ বিরক্তিকর এক অবস্থা। আবার অনেক সময় এমনিতেই এমনটা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু নিরাপদ কিন্তু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করে কান বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন—

ভালসালভা ম্যানিউভার
পদ্ধতিতে দুই কানে বাতাসের চাপে ভারসাম্য আনা যায়। ওষুধপত্রের ঝক্কি নেই। সাধারণ উপায়েই সারতে পারেন কাজটি। মুখ বন্ধ করুন এবং হাতের দুই আঙুলে নাক চেপে ধরুন। অর্থাৎ এই অবস্থায় নাক বা মুখ নিয়ে কোনো বাতাস ঢুকছে বা প্রবেশও করছে না। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ার মতো করে চাপ দিন, কিন্তু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস বেরোতে দেবেন না। দেখবেন ‘পপ’ শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে।

তবে মনে রাখবেন, খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো করে বাতাসের চাপ দেবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথমবার কাজ না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন।
অলিভ ওয়েল বা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড

এগুলোর সহায়তায় বন্ধ হয়ে থাকা ইয়ুস্টাচিয়ান টিউব অবমুক্ত করা হয়। তবে এরা কানের ময়লা পরিষ্কার করে এবং ভেতরটা বেশ কোমল করে দেয়। যে কানটি বন্ধ হয়ে আছে তা ওপরের দিকে রেখে কাত হয়ে শুতে হবে। অর্থাৎ অন্য কান বালিশে থাকবে। এবার একটা ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড খোলা কানে দিন। অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারে। তবে তা হালকা গরম করতে হবে। তাপমাত্রা অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এই তেলও একই পদ্ধতিতে নিতে হবে। যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, তিন-পাঁচ ফোঁটা তরল কানে নিয়ে ৫-১০ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকবেন। এবার উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ, বন্ধ কান বালিশে দিয়ে শুয়ে থাকুন আরো কয়েক মিনিট। এ অবস্থায় কানের সব ময়লা নিয়ে বেরিয়ে আসবে অলিভ অয়েল কিংবা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

উষ্ণতার সংকোচন
একটি পরিষ্কার কাপড় নিন। গরম জলে ভেজান। এবার কাপড়টা চিপে জল ঝরিয়ে ফেলুন। এবার কাপড়টি বন্ধ কানের ওপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ময়লা বেরিয়ে আসার সুবিধা করতে বালিশে কাপড়টি রেখে তার ওপর কান চেপে শুয়ে থাকতে পারেন।

প্রতিরোধে করণীয়
একবার শিক্ষা হয়ে গেলে পরেরবার যেন এই অবস্থায় না পড়েন, তার জন্য নিশ্চয়ই সাবধান থাকবেন। এর জন্য— ১. চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে একটি ডিকগজেস্টেন্ট ব্যাগে নিয়ে নিন। এটা আবার নিজের পছন্দমতো কিনতে যাবেন না। চিকিৎসক যেটা বলবেন, সেটাই ব্যবহার করবেন। বাইরে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এটা ব্যবহার করতে পারেন। ২. ইয়ুস্টাচিয়ান টিউব যেন বন্ধ না হয়ে তার জন্য নাসাল স্প্রে ব্যবহার করেন অনেকে। তবে এর জন্যও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ৩. বিমানে উঠলে অনেকের এ সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিমানে ওঠার কিছুক্ষণ পর এয়ারপ্লাগ ব্যবহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।rs

Related News