গ্রিন টি মানেই প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট – তা আপনার স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে, শরীরের ফ্রি র্যাডিকাল নিয়ন্ত্রণে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই সঙ্গে নিয়মিত সেবনে সহজ হয় ওজন নিয়ন্ত্রণ – এমন একটা ধারণাও ক্রমশ বদ্ধমূল হচ্ছে। কিন্তু গ্রিন টি যে কেবল খাওয়া ছাড়াও অন্য নানা কাজে ব্যবহার করা সম্ভব, তা কি আপনি জানেন?
গ্রিন টি দিয়ে আপনি ফেস স্ক্রাব/ টোনার তৈরি করে নিতে পারেন: গ্রিন টি-র অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেটারি প্রপার্টিজ় ত্বকের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। বিশেষ করে যাঁদের ত্বকে লালচেভাব, জ্বালার সমস্যা আছে, তাঁদের ত্বকে গ্রিন টি খুব ভালো কাজ করবে। আপনি যেভাবে চায়ের পাতা বা টি ব্যাগ দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে নেন, সেইভাবে চা তৈরি করে পুরোপুরি ঠান্ডা করে নিন। তার মধ্যে মেশান চিনি, আটার ভুষি,আমন্ডের গুঁড়ো। তার পর সেটা দিয়ে স্ক্রাব করে ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে নিন। টোনার তৈরির জন্য ঠান্ডা গ্রিন টি আইস ট্রেতে ঢেলে কিউব হিসেবে জমিয়ে নিন। তার পর সেই টুকরোটা একটা টিস্যুতে মুড়ে মুখে আলতো হাতে বুলিয়ে নিলেই চলবে!
চোখের ফোলাভাব কমানোর জন্য তৈরি করুন আইস প্যাক: গ্রিন টি ব্যাগ দিয়ে চা তৈরি করে নেওয়ার পর সেগুলি ফেলে দেবেন না, ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন প্লাস্টিকের আস্তরণে মুড়ে। কোনও রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে বা শরীর ক্লান্তিতে ভেঙে পড়লে দু’টি টি ব্যাগ বের করে নিন। একটু গোলাপজল স্প্রে করে চোখের উপর রাখুন। তাতে ফোলাভাব কমবে এবং আপনি ফের তরতাজা অনুভব ফিরে পাবেন।
চুল ধোওয়ার জন্য ব্যবহার করুন গ্রিন টি: নিয়ম মেনে গ্রিন টি তৈরি করে নিন। তার পর সেটাকে ঠান্ডা করে রাখুন বোতলে ভরে। শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারের পর চুল ধোওয়ার জন্য এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন।
সানবার্নের সমস্যা থেকে আরাম দিতে পারে গ্রিন টির মিশ্রণ: গ্রিন টি তৈরি করে ছেঁকে নিন বিধিমতো। তার পর ঠান্ডা করে ছেঁকে নিয়ে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। রোদে পোড়া ত্বককে আরাম দেওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার রুমাল বা নরম ন্যাপকিন ডুবিয়ে নিন গ্রিন টি মিশ্রণে। তার পর সেটি ঠান্ডা অবস্থাতে তুলে নিয়ে রোদে পোড়া অংশে থুপে থুপে ব্যবহার করুন।