March 28, 2024 | 10:16 PM

প্রোস্টেট পুরুষের প্রজননতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ছোট গ্রন্থি, যা মূত্রথলির নিচে থাকে। এটি বীর্য তৈরি ও পরিবহণে সাহায্য করে।

চিকি‍ৎসা সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,এ দেশের অনেক পুরুষ প্রোস্টেট গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছেন। প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়।

আমরা যেন বড় ধরনের জটিলতায় না পড়ি, সে জন্য আমাদের অবশ্যই সাবধান হতে হবে। প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড যদি বড় হয়ে যায়, প্রস্রাবে যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই ইউরোলজি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি মেলা খুব ঝামেলার নয়।

ওষুধ খেয়ে রোগটি ভালো করা গেলে ভবিষ্যতে আপনি সার্জারি থেকেও রক্ষা পাবেন। হুট করে প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো যে বিড়ম্বনা, ঘন ঘন সংক্রমণ, প্রস্রাবে রক্ত যাওয়া কিংবা মূত্রথলিতে পাথর হওয়া এ সমস্ত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও আপনাকে ওষুধ খেতে হবে। একেবারেই যদি ওষুধে কাজ না করে, তখন সার্জারি করিয়ে নিতে হবে। এ সার্জারি আমাদের দেশে হয়। তাহলে আপনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।

প্রস্টেটের সমস্যার উপসর্গ
১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
২. প্রস্রাব আটকে যাওয়া বা পুরোপুরি না হওয়া
৩. প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া
৪. রাতে ঘুম ভেঙে বারবার প্রস্রাব করতে যাওয়া
৫. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তও আসতে পারে

প্রস্টেটের সমস্যা এড়াতে যা করবেন

১. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জল খেতে হবে। কম বা বেশি নয়। জলীয় খাবার কম খেতে হবে।
২. রাত ৮টার ভেতরে রাতের খাওয়া সারতে হবে। রাতে খাওয়ার পর জল বা জলজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। যেমন শোয়ার আগে দুধ খাওয়া যাবে না। ডিনারের সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে। অনেকগুলো ওষুধ থাকলে সব কটি একসঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে। যাতে কিছুক্ষণ পরপর জল খাওয়া না হয়। আর জলটাও কম খাওয়া হয়।
৩. বয়সকালে একটি রেগুলার চেকআপ করিয়ে নিলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বড় জটিলতা থেকেও বাঁচা যায়।

প্রেস্টেট নিয়ে বাবাদের সতর্ক থাকতে হবে। সন্তানদেরও সতর্ক থাকতে হবে। বাবার বয়স পঞ্চাশের বেশি হলেই ইউরোলজিস্ট দেখিয়ে পরামর্শ নিতে হবে। বছরে একবার দেখালে অনেক বড় জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।