March 28, 2024 | 10:09 AM

সবাই সুখী হতে চায়।কিন্তু হবে কি করে।কোথায় গেলে পাবেন সুখের সন্ধান।সত্যিই কি এমন কোনও ফর্মুলা আছে, যা মেনে চললে সুখের সন্ধান মেলে? হ্যা! আর সেই ফর্মুলারই সন্ধান দেওয়া হল এই প্রবন্ধে।সত্যিই কি এমন কোনও ফর্মুলা আছে, যা মেনে চললে সুখের সন্ধান মেলে? হ্যা! আর সেই ফর্মুলারই সন্ধান দেওয়া হল এই প্রবন্ধে।

১.দুঃখের দিনে ভাবুন সুখের কথা

বাচ্চারা যখন খুব কাঁদে তখন কী করেন? হাতে একটা লজেন্স ধরিয়ে দেন, আর আমনি কান্না হাসিতে বদলে যায়। তাই না! তেমনি মন যখন ভার থাকবে তখন ভাল সময় বা সুখস্মৃতির কথা ভাববেন। দেখবেন মন ভাল হয়ে যাবে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছিলেন, “যখন আমার ব্যাটিং ভাল যেত না, তখন আমি সেঞ্চুরি করা ম্যাচগুলির ভিডিও দেখতাম। তাতে ব্যাটিং-এ উন্নতি না ঘটলেও পারফরমেন্স ভাল করার জন্য মনের জোর খুব বেড়ে যেতে।” কী বুঝলেন। মনও একটা বাচ্চারই মতো, তাকে যদি ভুলিয়ে রাখতে পারেন তাহলেই সুখী!

২.মন খারাপকে পালাতে বাধ্য করুন

শুনতে হয়তে একটু আজব লাগছে। কিন্তু দুঃখ দূরে রাখার একটা অসাধারণ উপায় এটি। মনোবিদরা বলেন, যেটায় ভয় হয় সেটা থেকে পালাবেন না। বরং তার সামনাসামনি হন, তাহলে দেখবেন ভয় পালিয়ে যাবে। একইভাবে যে কারণেই মন খারাপ হোক না কেন, সেই মন খারাপের মুহূর্তটাকে ভাল করে অনুভব করুন। দেখবেন নিমেষে মন ভাল হয়ে যাবে।

৩.সম্পর্কের চাপ থাকে বেরিয়ে আসুন

কথাটি বলা যতটা সহজ, করা ততটাই কঠিন। কিন্তু সুখে থাকতে গেলে যে করতেই হবে! আর কোনো উপায়ও নেই। কারণ যে সব মানুষ সারা দিন আপনাকে পিষে চলেছেন তাদের সঙ্গ থেকে বেরিয়ে না আসলে সুখের দেখা পাবেন না। এমন খারাপ সম্পর্ক নিয়ে সুখী থাকা দূরে থাক বাঁচাও খুব কঠিন। আর যদি একান্তই এমন মানুষদের সঙ্গে ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে যতটা কম সময় পারবেন এমন মানুষদের থেকে দূরে থাকবেন।

৪.দয়াবান হতে শিখুন

দালাই লামা বলেন, “অন্যকে ক্ষমা করতে পারলেই আনন্দের সন্ধান পাবেন।” কথাটা ঠিক। কিন্তু করাটা বাস্তবে খুব কঠিন। যে মানুষগুলোর জন্য আমি আজ এত কষ্টে আছি, তাদের ক্ষমা করা কি সম্ভব? হয়তো নয়। কিন্তু করতে যে হবে। কারণ মনে বিষের পরিমাণ বাড়লে সুখের পরিমাণ কমে যায়।

৫.“না” বলাটা খুব জরুরি

ছোট থেকে আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এই কথাটা শুনে আসছেন। কিন্তু করতে পারছেন ক’জন বলুন। আমরা আশেপাশের লোক খুশি করতে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন অনেক কাজ করি, যা হয়তো বাকিদের আনন্দ দেয়, কিন্তু দিনের শেষে আমরা নিজেরাই অসুখী। যেমন, আমাদের মাঝে মধ্যেই সামাজিকতার খাতিরে এমন আত্মীয়ের বাড়ি যেতে হয় যারা আমাদের পছন্দ করেন না। তবু তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হয়। এতে পরিবারের বাকিরা খুশি হয় ঠিকই। কিন্তু আমাদের মনের খোঁজ কি কেউ রাখে? তাই না বলতে শিখুন। সহজ কথায়, যেখানে সুখ নেই সেখানে যেতে নেই।