যারা শুধু রক্তচাপ মাপার জন্যই ডাক্তার এর কাছে যান না।বাড়িতেই হোম মনিটরিং বা রক্তচাপ মাপার অভ্যাসকে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন উৎসাহিতই করছে। এতে অনেক না জানা উচ্চ রক্তচাপের রোগীর রক্তচাপ ধরা পড়ে।তা ছাড়া যাঁরা রক্তচাপের ওষুধ খান, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও যাঁদের রক্তচাপ ওঠানামা করে, তাঁদের জন্য এই তদারকি বেশ উপকার বয়ে আনে। আসুন, জেনে নিই কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে রক্তচাপ পরিমাপ করা যায়।
১.একই সময়ে রক্তচাপ দেখা ভালো, বিশেষ করে যদি রক্তচাপের ওঠানামার সমস্যা থাকে। যেমন: সকাল ১০টা ও রাত ৮টা—এমন দুটো সময় ঠিক করে নিলেন। চা-কফি পান করার পর, ব্যায়ামের পর, খাদ্যগ্রহণ বা ধূমপান করার পর বা খুব অস্থিরতার সময় রক্তচাপ না মাপাই ভালো। বিপি মাপার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত রোগী কোন পান, সিগারেট, জর্দা, গুল, চা, কফি, ইত্যাদি খেতে পারবে না।
২.বিপি মাপার সময় রোগীকে কমপক্ষে ৫ মিনিট চুপচাপ বসিয়ে রাখতে হবে, রোগী চেয়ারে পেছনে হেলান দিয়ে বসে, দুই হাত টেবিলের উপর থাকবে, মাপার সময় রোগী কোন কথা বলবে না, রোগীর মূত্রথলি খালি থাকতে হবে, রোগীকে উদ্বেগ কমিয়ে বসতে হবে। বিপি মাপার সময় কাপড় এমনভাবে গুটিয়ে হাতের উপর আনা যাবে না যাতে হাতের উপর কাপড়ের প্রেসার তৈরী হয়। এগুলো হচ্ছে প্রেসার মাপার সাধারন নিয়ম। দেখা গেছে বিপি মাপার সময় কথা বলতে থাকলে ১০মিমি, ব্লাডার পূর্ন থাকলে ১০মিমি, ঝুলন্ত হাতে ৬-১০ মিমি বেশি আসতে পারে, আবার দাঁড়ানো থেকে বসার সাথে সাথে মাপলে ২০মিমি পর্যন্ত কম আসতে পারে।
৩.বাজারে তিনরকম উচ্চরক্তচাপ পরিমাপক যন্ত্র পাওয়া যায়। মার্কারি, এনেরয়েড, ডিজিটাল। এর মধ্যে মারকারিটা সবচেয়ে ভালো। কিন্তু সাধারণ মানুষ এর রিডিং বোঝেন না বলে মনিটরযুক্ত ইলেকট্রিক যন্ত্র ব্যবহার করেন। তবে বাড়িতে রক্তচাপ মাপতে মনিটরযুক্ত যন্ত্রের চেয়ে সাধারণ স্ফিগনোম্যানোমিটারই ভালো। মনিটরযুক্ত যন্ত্র হলে ভালো কোম্পানির নিখুঁত যন্ত্র নিন। বছরে একবার যন্ত্রটি পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।