April 18, 2024 | 3:25 PM

অনেকে এই অবসাদের পেছনে এখনকার ছুটোছুটি ও অস্থির জীবনযাপনের দোহাই দেন। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটাই কারণ হতে পারে। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া এখন এতই সাধারণ বিষয় হয়ে গেছে, এর পরিচিতি দাঁড়িয়ে গেছে ‘টিএটিটি’ বা ‘টায়ার্ড অল দ্য টাইম’ নামে। আসুন জেনে নেই যে ৫টি কারণে একজন পুরুষ সবসময় ক্লান্ত বোধ করেন।

১.নিদ্রাহীনতা
ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে যে সমস্যা তৈরি হয়, এর কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়। নাক ডাকার উপসর্গ দেখে নিদ্রাহীনতার বিষয়টি ধরা যায়। নিদ্রাহীনতার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার কারণে ঘুম ঠিকমতো না হওয়া। এতে মস্তিষ্ক জেগে থাকে। সারা দিন এতে ক্লান্তি শরীরে থেকে যায়। চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষার মাধ্যমে নিদ্রাহীনতা পরীক্ষা করতে পারেন। তবে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনলে এ সমস্যা দূর হবে। ধূমপান ছাড়া, ওজন কমানো, মদ ছাড়া, শারীরিক ব্যায়ামে উপকার পাবেন।

২.টেস্টোস্টেরন কম
টেস্টোস্টেরন একটি হরমোন। এটি শুক্রাশয়ে তৈরি হয়। বয়স বেড়ে গেলে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে যায়। টেস্টেটোরন কমে গেলে কয়েক ধরনের উপসর্গ দেখতে পাবেন। সব সময় ক্লান্তি বা অবসাদ তার মধ্যে একটি। ঘুমের মধ্যে অধিক টেস্টোস্টেরন তৈরি হয় বলে অবসাদ কাটাতে ও টেস্টোস্টেরন তৈরিতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। সুষম খাবারও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফল-সবজি, কম মাত্রায় সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেতে হবে।

৩.রক্তাল্পতা
রক্তে লোহিত কণিকা কমে গেলে রক্তাল্পতা হয়। এ থেকে তৈরি হতে পারে অবসাদ ভাব। সব সময় যদি ক্লান্ত লাগে, দুর্বল বোধ হয়, ঘুম ও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়, বুক ও মাথাব্যথা হয়, তবে তা রক্তাল্পতার কারণে কি না, পরীক্ষা করতে পারেন। শরীরে লৌহের ঘাটতি হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। লৌহের ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

৪.থাইরয়েড সমস্যা
গলার ওপর প্রজাপতি আকৃতির এই থাইরয়েড গ্রন্থি যে হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, তা নানা উপায়ে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে কত দ্রুত ক্যালরি পোড়ানো হবে বা কত দ্রুত হৃৎস্পন্দন হবে, এ বিষয়টিও রয়েছে। থাইরয়েড গ্রন্থিটি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কয়টি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি দেহের সামগ্রিক ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, থাইরয়েড তাদের অন্যতম। থাইরয়েডের সমস্যা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করে, যা দেহের থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে। এখন অনেকেরই থাইরয়েডের সমস্যা দেখা যায়। থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে অবসাদ তৈরি হয়। সাধারণ রক্ত পরীক্ষায় থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়ে। এটি চিকিৎসায় সহজে সারে। যাঁরা অবসাদ বা মাংসপেশির দুর্বলতায় ভোগেন, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।