March 29, 2024 | 6:58 PM

পাইলস বা অর্শ্বরোগে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। চিকিৎসার ভাসায় পাইলসকে হেমোরয়েড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশে বা নীচের মলদ্বার ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। এ কারণে মলদ্বারের ভেতরের বা বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারও যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।

পাইলসের লক্ষণ কী?

>> মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
>> মলের মঙ্গে রক্ত পড়া
>> মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব
>> মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও
>> রক্তপাত।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ঐশ্বরিয়া সন্তোষ তার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন পাইলসের রোগীরা যদি বাটার মিল্কের সঙ্গে যদি ওল খান তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে। শুধু তাই নয়, এটি খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।

এই চিকিৎসক জানান, পাইলসের ক্ষেত্রে ওল খাওয়া খুবই উপকারী। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলিক, কৃমির উপদ্রব ও হজমের সমস্যাতেও কাজে আসে এই সবজি।

ওলে থাকে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১, রাইবোফ্লাভিন, ফলিক অ্যাসিড, নিয়াসিন, ভিটামিন এ ও বিটা-ক্যারোটিন ছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, পটাসিয়াম ও ফাইবার। এসব উপাদান শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও একাধিক রোগ রক্ষা করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ওলের খোসা এড়িয়ে কেটে টুকরো ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকেনো ওল ভালো করে গুঁড়া করুন। দৈনিক ৫ গ্রাম ওলের গুঁড়ার সঙ্গে তেঁতুলের মিশিয়ে পান করলেই নাকি মিলবে উপকার।

ওলের পাশাপাশি হলুদও পাইলসের সমস্যা সারাতে বিশেষ কার্যকরী। হলুদ আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। হলুদে থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। যা সেকেন্ডারি মাইক্রোবিয়াল সংক্রমণের আক্রমণকে প্রতিরোধ করে ও হেমোরয়েডসে রক্তপাত বন্ধ করে।

হলুদে থাকা গুণাগুণ মলদ্বারের চুলকানি কমাতেও সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, হলুদে একটি ক্ষারীয় ও অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট প্রভাব আছে, যা পাইলসের সমস্যাকে সঙ্কুচিত করতে সহায়তা করে।

আরও এক উপাদান হলো আমলা বা আমলকি। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ইমিউনোমোডুলেটর, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট থাকে। এসব উপাদান পাইলসের সমস্যার সমাধানে বিশেষভাবে কাজ করে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখুন আমলকিও।