জেনেনিন ডিম খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে

Written by News Desk

Published on:

কম খরচে স্বাদ, পুষ্টি ও সুষম আহারের খোঁজে ডিমের সঙ্গে পাল্লা দেয় এমন খাবার খুব কমই আছে। যদিও অনেকেই মনে করেন, ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল বাড়ে। তবে আধুনিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, এ ধারণা ভিত্তিহীন। বরং ডিমের কুসুম খারাপ কোলেস্টেরলকে কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ওজনে কোনো প্রভাবই ফেলে না ডিম। তেল-মসলার যে কোনো খাবারই ওজন বাড়ায়। ডিমও খুব কষিয়ে রান্না করলে বা ঘন ঘন ভেজে খেলে তেল-মসলার জন্যই মেদ বাড়ে। মেদ নিয়ে ভয় থাকলে ডিম বাদ দেয়ার কোনো কারণই নেই। বরং বেশ কিছু উপায়ে ডিম খেলে মেদের সঙ্গে লড়া যায় নির্বিঘ্নে। শরীরও পায় পুরো পুষ্টিগুণ।

ডিম দিয়ে তেল-ঝালের ডালনা, ভাজাভুজি, ঘন ঘন পোচ বা অমলেটকে না বলুন। বরং ডিম খাওয়ার সঠিক পদ্ধতিতগুলো জেনে নিন-

সালাদ

পালং, শসা, ব্রকলি, সিদ্ধ করা গাজর, কড়াইশুটি, টমেটো-পেঁয়াজের সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে দিন সিদ্ধ ডিমের কুঁচোনো অংশ। উপর থেকে ছড়ান গোলমরিচ ও লেবুর রস। এতে গোটা ডিমের পুষ্টিগুণ যেমন মিলবে, তেমনই আবার সবুজ সবজি, শাক ও গাজরের প্রভাবে মেদ বাধা পাবে। ফলে ডিমে বাড়বে না ওজন।

জল দিয়ে পোচ

তেল নয়, পোচ করুন জল ও ভিনেগারের সাহায্যে। একটি পাত্রে কিছুটা জল নিয়ে তাতে অল্প ভিনেগার যোগ করে জলটা নেড়ে নিন। এবার খুব সাবধানে জলে প্রথমে ডিমের সাদা অংশ ফেলুন। তার ওপর ফেলুন ডিমের কুসুম। এমনভাবে কুসুম যোগ করতে হবে, যাতে তা ভেঙে না যায়। খানিক পরেই ডিমের সাদা অংশ ফুলে উঠে ঢেকে দেবে হলুদ কুসুমকে। সাদা আস্তরণের ভেতর টলটল করবে কুসুম। ঝাঁঝরি হাতা দিয়ে পোচটিকে আলতো করে তুলে নিন জল থেকে। তেল ছাড়া এমন পোচই গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ মেলে এই পোচ থেকে। মেদ জমার ভয়ও থাকে না।

ওটমিল ও ডিম

ডিমের সঙ্গে ওটমিল খান। ওটমিল পাচনমূলক এসিড ক্ষরণেও বাধা দেয়। তাই ওটমিল খেলে সহজে খিদেও পায় না। ওটমিল শরীরে বাড়তি কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমার পথে বাধা দেয়। এ দিকে ডিম জোগান দেয় প্রোটিনের। ফলে ওটমিল ও ডিম একত্রে লড়াই করলে মেদ জমা কঠিন হেয় দাঁড়ায়।

Related News