March 29, 2024 | 11:34 AM

এমন কোন কর্মক্ষেত্র নেই যেখানে আপনি ঈর্ষান্বিত সহকর্মী পাবেন না। বিষাক্ততার মাত্রা কম-বেশি হতে পারে তবে সব জায়গায় এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন যার যেকোনো কারণে আপনার সাথে সমস্যা লেগে থাকবে। আপনি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন, আরও ভালো যোগাযোগ রয়েছে, তারা মনে করে বসের কাছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ, আপনি ভালো পোশাক পরেন, হতে পারে এরকম যেকোনো কিছু! কিন্তু এরকম মানুষের সঙ্গে ধৈর্য ধরে একই কর্মক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করবেন? জেনে নিন ঈর্ষান্বিত বা হিংসুটে সহকর্মীকে মোকাবিলা করার উপায়-

নীরবতা

যদি আপনার কাছে চমক দেওয়ার মতো কোনো খবর থাকে, আপনার পদমর্যাদা বাড়ানো হয়েছে এমন কিছু দেওয়া হয়েছে যা গর্ব প্রকাশ করতে পারে তবে চুপ থাকুন। আপনার কাছের মানুষদের সঙ্গে এটি শেয়ার করুন, তারা আপনার সঙ্গে আনন্দ করবে। আপনি যদি অফিসেই এমনটা প্রকাশ করেন, তখন অন্যরা আপনাকে একজন অহংকারী ব্যক্তি মনে করতে পারে। তাই চুপ থাকলে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না

হিংসা মূলত একজন ব্যক্তির নিজের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন। বাস্তবে আপনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই পরেরবার যদি কেউ আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়, তবে এটি ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না কারণ এটি তাদের সমস্যা আপনার নয়।

শেয়ারিং

কাজ জানেন বলেই সব নিজে একা করতে যাবেন না। যদি সম্ভব হয় তবে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজগুলো ভাগ করে নিতে পারেন। একজন দক্ষ কর্মী কিন্তু এমনটাই করবেন। এমনটা করলে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে, আমি একাই সব পারি- এ ধরনের ক্ষতিকর আত্মতৃপ্তিতেও ভুগতে হবে না।

ভালোর দিকে মনোযোগ দিন

সব সময় মনে রাখবেন যে আপনি প্রত্যেককে খুশি করতে পারবেন না। তাই, আপনার চারপাশের ভালো মানুষদের দিকে মনোযোগ দেওয়াই ভালো। যে আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেয় তাকে গুরুত্ব দিন। বিদ্বেষীরা সব সময় বিদ্বেষীই হবে।

ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন

আপনি যা করেননি তার জন্য কখনোই দুঃখিত বলবেন না। আপনি কিছু অর্জন করলে তা নিয়ে খুশি থাকুন, তাকে ছোট করবেন না এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হবেন না। শুধু শো অফ থেকে বিরত থাকুন। অভিনন্দন গ্রহণ করুন এবং তারপরে আপনার কাজে মনোযোগ দিন। কেউ ঈর্ষান্বিত হলে এটা তাদের সমস্যা। আপনার কৃতিত্ব খুশি থাকার অধিকার অবশ্যই আপনার রয়েছে।