March 29, 2024 | 10:50 AM

ভেবেচিন্তে কেউ অস্বাস্থ্যকর খাবার খান না। বরং সবারই ইচ্ছা থাকে প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সুস্থ থাকা। তবে সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারাটাই কষ্টকর। কারণ চারপাশে এত সব লোভনীয় খাবার, চাইলেই সেসব এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত যদিও কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। সেজন্য সবার আগে প্রয়োজন আপনার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা।

স্বাস্থ্যকর ও উপকারী খাবারের যদি তালিকা করা হয় তবে উপরের দিকেই থাকবে পালং শাকের নাম। সালাদ, ডাল, তরকারি, ভাজি, স্যুপ- নানাভাবে খাওয়া যায় এই শাক। উপকারী পালং শাক আমাদের ত্বক, চুল, হাড়সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপকার করে। প্রতিদিন পালং শাক খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। তবে তা যেন অতিরিক্ত না হয়, খেতে হবে পরিমিত। জেনে নিন নিয়মিত পালং শাক খেলে কী উপকার হয়-

ভালো রাখে হার্ট

আমাদের হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে যেসব খাবার, তার মধ্যে অন্যতম হলো পালং শাক। এতে থাকা আয়রন হার্টের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। এই উপাদান হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ কাজ করে। পালং শাকে থাকা নাইট্রিক অক্সিড কমিয়ে আনে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস হওয়ার আশঙ্কাও। এই শাকে থাকা নাইট্রেট নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ।

হাড় মজবুত করে

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড় নাজুক হতে শুরু করে। তাই হাড় ভালো রাখে এমন খাবার খাওয়া জরুরি। নিয়মিত পালং শাক খেলে তা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই শাকে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে হাড়ের জন্য ভীষণ উপকারী।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

বর্তমানে বেশিরভাগেরই দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা ‍দিচ্ছে। এর বড় কারণ হলো সঠিক খাবার না খাওয়া। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত খেতে হবে পালং শাক। এতে থাকে লুটেইন এবং জেক্সানথিন উপকারী পুষ্টি উপাদান। এই দুই উপাদান চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। তাই নিয়মিত পালং শাক খাওয়া জরুরি।

রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়

পালং শাক খেলে তা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এই শাকে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার পাওয়া যায়। এই দুই উপাদান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কাজ করে।

ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে

সুন্দর ত্বক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাদের সবারই। কিন্তু নানা কারণে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারাতে পারে। নিয়মিত পালং শাক খেলে তা কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তোলে সেইসঙ্গে গঠন ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।