April 13, 2024 | 12:59 AM

গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার সমস্যা বেশি দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের এই সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়। এসময় জল কিংবা অন্যান্য পানীয়র দিকে নজর রাখা জরুরি। কারণ সেখান থেকেই হতে পারে পেটের সমস্যা বা ডায়রিয়া। ডায়রিয়ায় ভুগলে শিশু খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এসময় শিশুর প্রতি হতে হবে আরেকটু বেশি যত্নশীল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া বা পেটের অসুখ থেকে শিশুর শরীরে ডিহাইড্রেশন কিংবা অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে কমে যায় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, বার বার পাতলা পায়খানা হলে শরীরে জলর পরিমাণ কমতে শুরু করে।

ডায়রিয়া কতদিন থাকতে পারে?

সাধারণত তিন থেকে পাঁচদিন পেটে সমস্যা এবং বমি থাকতে পারে। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে পেটের ইনফেকশন ছাড়াও মলের সঙ্গে রক্ত অথবা মিউকাস দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শরীর থেকে জল ও লবণ বেরিয়ে যেতে থাকলে তা শিশুকে ক্রমশ দুর্বল করে দেয়।

শরীরের ভেতরে জলশূন্যতা দেখা দিলে প্রস্রাবের সমস্যা, মেজাজ খিটখিটে, অস্বস্তি ও শুষ্কতা দেখা দেয়। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। ডায়রিয়া হলে কমতে থাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই এসময় শিশুকে স্যালাইন অথবা লবণ-চিনি-জলর মিশ্রণ, বিভিন্ন তরল খাবার, ডাবের জল ইত্যাদি খেতে দিতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শ কখন নেবেন?

শিশুর শরীরে কোনো উন্নতি না হলে বা সমস্যার কোনো সমাধান না হলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। যদি শিশুর বমি বন্ধ না হয়, শিশুর বয়স ছয় মাস বা তারও কম হলে, অনবরত বমি, ক্ষুধা কমে যাওয়া এবং গায়ে জ্বর দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আপনার করণীয়

শিশু বাইরে থেকে এলে, বাথরুম ব্যবহারের পর, খাবার আগে ও পরে তার ভাত ভালো করে ধুইয়ে দিন। প্রতিদিন গোসলের সময় সাবান ব্যবহার করতে শেখান। শিশুর গোসলের জলে সামান্য জীবাণুনাশক মিশিয়ে নিতে পারেন। যেসব শিশু বুকের দুধ খায় তাদের ফর্মুলা বা বেবি ফুডের বদলে মায়ের দুধই খাওয়ান। জল ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খাওয়াবেন। খাবারের পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করে ব্যবহার করবেন। ফ্রিজের খাবার হলে ভালো করে গরম করে খাওয়াবেন।