March 29, 2024 | 10:30 AM

রাতের অনিয়মিত ঘুম, সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর ক্লান্ত ও অবসন্ন লাগে। এ সময় শরীর ব্যথা করতে থাকবে, প্রচণ্ড ঘুম পাবে এবং কোনো কাজই করতে ইচ্ছা করে না।

রাতে ঘুম না হলে তা শরীরের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ক্লান্ত লাগলেই আমরা চা বা কফি খেয়ে থাকি। কেউ বাইরে খোলা বাতাসে হেঁটে আসেন। তবে অবসাদের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেরও যোগ রয়েছে। তাই সারাদিনে অল্প বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।

কী খাবেন

১. অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন– মিষ্টিজাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া, ফাস্টফুড খাবেন না।
২. বাইরের খাবার খেতে না চাইলে সারাদিনে অল্প অল্প করে খেতে হবে।
৩. প্রতি মিলে কমপ্লেক্স বা জটিল ধরনের কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বিজাতীয় খাবারের মিশেল রাখতে হবে। এতে আপনার শরীরে শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
৪. অতিরিক্ত ক্লান্ত অবস্থায় আমাদের শরীরে প্রচুর গ্লুকোজ প্রয়োজন হয়। পর্যাপ্ত গ্লুকোজ খেতে পারেন।
৫. বাদাম, আঙুর, কলা বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন।
৬. বিভিন্ন রকম সবজি, সিদ্ধ বিন (ছোলা, শিমের বিচি, মটরশুঁটি ইত্যাদি) ও অলিভ অয়েল বা অন্য তেল দিয়ে বানানো মুখরোচক সালাদ।
৭. কাঠবাদাম, ওয়ালনাট ও কোনো না কোনো ফল, দারুচিনি গুঁড়া, কিশমিশ ইত্যাদি মেশানো টকদই খেতে পারেন।
৮. সারাদিন সুস্থ থাকতে প্রচুর পরিমাণ জল পান করতে হবে। শরীরের ক্লান্ত কোষগুলোকে সজীব রাখতে পান করুন বিশুদ্ধ জল। দিনে অন্তত আট থেকে ১০ গ্লাস জল পান করতে ভুলবেন না।
৯. শুধু জল ভালো না লাগলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে এতে চিনি মেশাবেন না।
১০. ফল ও সবজি যেমন তরমুজ, শসা, লেটুস ইত্যাদি খেতে পারেন।
১২. ক্লান্তিতে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়। কিন্তু মিষ্টি উল্টো ক্ষতি করে। তাই চিনি বা চিনি দিয়ে তৈরি খাবার থেকে দূরে থাকুন।