April 12, 2024 | 10:48 PM

মাড়ির ভেতরে খাদ্যকণা জমে থেকে যে আবরণ তৈরি করে তার নাম ডেন্টাল প্লাক বা মাড়ির রোগ। এ ডেন্টাল প্লাক ধীরে ধীরে শক্ত হয়ে পাথরের মতো হয়ে যায়। তখন নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন মাড়ির প্রদাহ, মাড়ি ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে যাওয়া, সামান্য আঘাতে রক্ত পড়া ইত্যাদি।

ডেন্টাল প্লাক বা মাড়ির রোগকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগটিকে বলা হয় জিনজিভাইটিজ। এ অবস্থায় মাড়িতে প্রদাহ হয় এবং সামান্য আঘাতেই মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, কখনও দাঁত ব্রাশের সময় বা শক্ত আপেল বা পেয়ারাজাতীয় ফল খেলেও মাড়ি থেকে রক্ত বের হয়। দ্বিতীয় ভাগটি হল পেরিওডন্টাইটিস। এ অবস্থায় মাড়ি থেকে রক্তের সঙ্গে পুঁজ বের হয়। দাঁত নড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত দাঁত হারাতে হয়।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার : বেশিরভাগ দন্ত চিকিৎসক মনে করেন, ভালো মানের টুথপেস্ট দিয়ে নিয়মিত দু’বার দাঁত পরিষ্কার করে এ রোগ থেকে নিরাপদে থাকা সম্ভব। দাঁতের ফাঁকে যেন খাদ্যকণা জমে থাকতে না পারে। অবশ্যই রাতে খাবার পরে এবং সকালে নাস্তা খাওয়ার পরে ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইডসমৃদ্ধ টুথপেস্ট ব্যবহার করাই উত্তম। বিশেষ সচেতনতার জন্য ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া বছরে অন্তত দু’বার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

টুথপেস্টে ফ্লোরাইডের অতিরিক্ত উপস্থিতিও দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাজার থেকে টুথপেস্ট কেনার সময় ব্যালান্সড ফ্লোরাইড আছে কিনা নিশ্চিত হতে হবে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের দাঁতের সুরক্ষায় টুথপেস্টে ফ্লোরাইডের মাত্রা আলাদা। ০ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজন জিরো ফ্লোরাইড, ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য প্রয়োজন ৫০০ থেকে ৬০০ পিপিএম ফ্লোরাইডসম্পন্ন টুথপেস্ট এবং বড়দের জন্য প্রয়োজন ১০০০ পিপিএম ফ্লোরাইডসম্পন্ন টুথপেস্ট। তাছাড়া টুথপেস্টটি ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ কিনা এ বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে।