ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে যেই চা

Written by News Desk

Published on:

ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিসের জন্য যেমন দায়ী। এছাড়া আরও অনেক কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে।

ডায়াবেটিস কখনো পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খেতে পারেন করলা চা।

করলার চা তৈরিতে করলার পাতা, বীজ বা ফল ব্যবহার করা যেতে পারে। করলার চা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেতে ও ইমিউনিটি এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন স্মুদি ও সবজির জুসের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য করলা মেশানো হয়ে থাকে। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, লিভার পরিষ্কার করে, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে এই করলা।

শুকনো করলার টুকরাকে জলে ভিজিয়ে চা তৈরি করে এবং ওষুধ হিসেবে বিক্রি হয়। এটি গুঁড়ো বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়। এই চা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়।

যেভাবে তৈরি করবেন করলা চা-

কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলার টুকরো,জল ও মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়, তবে করলা সহজলভ্য তাই করলা ব্যবহার করুন। জল ফুটিয়ে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য জল মিশে যায়। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। তৈরি হয়ে গেল করলা চা। তবে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।

এছাড়া হাইপোগ্লাইসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে করলার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই করলার চা আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Related News