April 12, 2024 | 10:42 PM

হালকা মাছের ঝোল হোক বা কষা মাংস; শেষে একটু ধনে পাতা কুচিয়ে দিলে তার স্বাদই আলাদা হয়। এছাড়াও বিকেলের স্ন্যাক্সের সঙ্গে যদি ধনে পাতার চাটনি হয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই! ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। যা ত্বকের ক্ষতিকারক ব়্যাডিক্যালকে বিনাশ করে। এছাড়াও ধনেপাতার একাধিক গুণাগুণ রয়েছে।

ধনে পাতা ব্যবহার করলে ধরে রাখা যায় যৌবন। ধনে পাতার রস ত্বক ও ঠোঁট দুটিকেই সুন্দর করে তোলে। ধনে পাতা বেঁটে নিয়ে সোজা তা ঠোঁটে লাগিয়ে দিন। ১৫ মিনিট রেখে দিন। এভাবে সপ্তাহে মাঝে মধ্যেই এই ধনে পাতার রস ব্যবহার করলে আপনার ঠোঁট হবে সুন্দর, হবে গোলাপি। এছাড়াও যদি আপনি ধূমপান করেন বা তার ফলে আপনার ঠোঁট কালো হয়ে যায়, তাহলে এই ধনে পাতার রস আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

ধনেপাতার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে বানিয়ে নিন মিশ্রণ। এই মিশ্রণকে মুখে, ত্বকে হালকা করে লাগিয়ে নিন। এটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে মাসাজ করুন। এটি শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে তুলে নিন। এতে ত্বক থাকবে সতেজ। পড়বে না বয়সের ছাপ।

ধনে পাতার উপকারিতা

* যৌবন ধরে রাখতে ধনে পাতার জুড়ি মেলা ভার। মধুর সঙ্গে ধনেপাতা মিশিয়ে মুখে পুড়ি দিলে তা বাড়িয়ে দেয় যৌনশক্তি।

* ধনে পাতা পিষে তার শরবত তৈরি করে নিয়ম মেনে খেতে পারলে তা শরীরের পক্ষে ভাল। এতে কিডনি সুস্থ থাকে।

* ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য ধনেপাতা বিশেষ উপকারি। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধনে পাতার জুড়ি মেলা ভার।

* বলা হয় ধনে পাতা যেমন হজম ক্ষমতা বাড়ায়,তেমনই তা চোখের জন্যও ভাল।

* ধনেপাতায় রয়েছে ভিটামিন এ। যা বিভিন্নধরনের মহিলাদের রোগ সারাতে সাহয্য করে। এতে রক্তশূন্যতার শারীরিক জটিলতা কেটে যায়।

* ধনে পাতা খাওয়ার অভ্যাস থাকলে শরীরে বাজে ধরনের কোলেস্টেরল জমা হয় না। এছাড়াও হজমে সাহায্য করে, পেট থাকে পরিষ্কার।

* ধনে পাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপদান, যা গাঁটের ব্যথা। এতে স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়। স্নায়ু সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক সচল রাখতে সাহায্য করে ধনেপাতা।

*এছাড়াও ধনে পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্ঘন্ধ দূর হয়।bs