March 28, 2024 | 5:23 PM

শরীরের জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত জরুরি একটি খনিজ, যা নার্ভের বিভিন্ন কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে৷ একই সঙ্গে মাংস পেশির মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বজায় রাখে এবং শরীরে তরল পদার্থের সমতাও বজায় রাখে৷

তবে পটাশিয়ামের সব থেকে জরুরি কাজ হলো হৃৎস্পন্দনে সাহায্য করা। যখন শরীরে পটাশিয়ামের অত্যন্ত পরিমাণে অভাব হয়ে থাকে তখন ডাক্তারি পরিভাষায় তাকে হাইপো কালেমিয়া বলে। তবে এই পরিস্থিতি তখনই উৎপন্ন হয় যখন কোনো ব্যক্তির শরীরের পটাশিয়ামের স্তর ৩.৬ মিলিমোলস প্রতি লিটারের কম হয়ে যায়।

বেশ কিছু সময়েই লক্ষ্য করা গিয়েছে যে খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম না থাকার জন্য শরীরে পটাশিয়ামের অভাব দেখতে পাওয়া যায়। এর ফলে বমিবমি ভাব বা ডায়রিয়াও হতে পারে। পটাশিয়ামের অভাবে শরীরে আরও বেশ কিছু সমস্যা হতে পারে।

আধুনিক গবেষণায় এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হলে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এর ফলে ঘুমকে প্রভাবিত করে। ক্রমেই বাড়তে থাকে অনিন্দ্রা। শরীরে পটাশিয়াম লেবেল কম হলেই উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। বিশেষত সোডিয়ামের স্তর বেড়ে গেলেও বিপত্তি দেখা দেয়, অর্থাৎ বেশি পরিমাণে নুন খেলে।

পটাশিয়াম রক্ত প্রবাহকে মাঝে মাঝে বিশ্রাম দেয়, ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। পটাশিয়াম সোডিয়াম লেবেলের সমতা বজায় রাখে। হার্ট রিদম বা হৃদয়ের লয় অনিয়মিত হলে হাইপোকেলোমিয়া বা পটাশিয়াম ঘাটতির সঙ্কেত দেয়। হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয় ফলে প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

শরীরে পটাশিয়ামের অভাব থাকলে এনার্জি শরীরে একদমই থাকে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্তি অত্যন্ত পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। শরীরে পটাশিয়ামের অভাব হলে পেট ফুলতে পারে বা কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। পাচনক্রিয়া ধীর গতিতে হলেই এই সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় শরীরে।

উল্লেখ্য, শরীরে পটাশিয়ামের স্তর বজায় রাখতে যে খাবারগুলি অবশ্যই খাওয়া উচিৎ। তাহলো আলু, ডালিম, রাঙা আলু, পালং শাক, সাদা বিন, ডাবের জল, বিট, সয়াবিন, টমেটো ইত্যাদি।