March 28, 2024 | 5:57 PM

সকালে উঠে হালকা নাশতা করে দিন শুরু করা স্বাস্থ্যকর। পেট ভরে খাওয়া ঠিক নয়। রাতের ঘুমের পর বা দীর্ঘ বিশ্রামের পর পুরো শরীর জাগতে কিছুটা সময় নেয়। এতে শরীরের বিপাক-প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। দিনের প্রথম খাবার বা নাশতার আগে স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার দিয়ে সকাল শুরু করতে পারে। আসুন দেখে নেই সেই তালিকা-

* মধুর সাথে গরম জল: প্রতিদিন সকালে মধু খেলে ওজন কমে। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে হালকা গরম জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে যকৃৎ পরিষ্কার থাকে। এছাড়া শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে মধু। মধুতে আছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, ভিটামিন ও এনজাইম, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।

* ভেজানো কাঠবাদাম: ভিটামিন ও খনিজে ভরা কাঠবাদাম। জলে ভেজালে পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পর ৫-১০টি কাঠবাদাম খাওয়া যায়। সকালে এটি পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি সারা দিন রুচি বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঠবাদামের বাদামি আবরণে ট্যানিন নামের উপাদান থাকে, যা পুষ্টি শোষণ করে। কাঠবাদাম ভেজানো হলে খোসা সহজে খুলে যায় এবং সহজে পুষ্টি বের হয়।

* আমলকীর জুস: সকালে খালি পেটে আমলকীর জুস খেতে পারেন। তবে এই জুস খাওয়ার পর ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কফি বা চা না খাওয়া ভালো। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়, নিয়মিত আমলকী খেলে জীবনের দৈর্ঘ্য বাড়ে। আমলকীর ভেষজ গুণ অনেক। আমলকীর রস যকৃৎ, পেটের পীড়া, অজীর্ণ, হজমি ও কাশিতে বিশেষ উপকারী। আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দিকাশি ঠেকাতে পারে।

* পেঁপে: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপে খেলে পেট পরিষ্কার হয় এবং অন্ত্রের নড়াচড়া বাড়ে। পেঁপে খাওয়ার পর এক ঘণ্টা কিছু না খাওয়া ভালো। শরীরে বাজে কোলস্টেরলের প্রভাব কমায় পেঁপে। পেঁপে খেলে ওজন কমে, ত্বক পরিষ্কার হয়।

* তরমুজ: খালি পেটে তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। এ জন্য সকালে তরমুজ খাওয়া ভালো। এতে ক্যালরি কম, কিন্তু ইলেকট্রোলাইটস বেশি। প্রতিদিন দুই কাপের মতো তরমুজ খেলে শরীরে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির চাহিদা মেটে। এতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে ফ্লুইড ও মিনারেলসের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যাজমার মতো রোগ এবং ব্যথা উপশমে তরমুজ উপকারী। তরমুজের থাকা বিশেষ কয়েক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড ক্রমাগত নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে রক্তের স্বাভাবিক কার্যপ্রণালি বজায় রাখে।

* খেজুর: শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে খেজুর। দিনের শুরুতে খেজুর খেতে পারেন। খেজুরে প্রচুর দ্রবণীয় আঁশ থাকে, যা হজম প্রক্রিয়ার জন্য ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা দূর করতে পারে খেজুর। খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে। অল্প কয়েকটা খেজুর খেলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। এই ফল পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। ফলে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।