March 29, 2024 | 9:29 AM

সুস্থ থাকতে জল পানের বিকল্প নেই। তাই দিনে কম করে আড়াই থেকে তিন লিটার জল পান করুন। এ ছাড়া প্রতিদিন ব্যায়ামও করতে হবে। জলর সঙ্গে এমন কিছু উপাদান মেশাতে হবে যা একইসঙ্গে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। প্রকৃতিতে এমন অনেক উপাদান আছে যাতে স্বাদ-গন্ধের পাশাপাশি আছে পুষ্টি জোগায় ও রোগ সারানোর ক্ষমতা রাখে। সেসব মিশিয়ে পান করলে আর বিস্বাদ লাগবে না। পাশাপাশি বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সঠিক পদ্ধতিতে খেলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি হয়।

রোগমুক্তিতে ভেষজ পানীয়-

১. এক চামচ শুকনো আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া নামে তিনটি ফলের চূর্ণ এক গ্লাস জলে সারা রাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণের জন্য এই মিশ্রণ প্রদাহ কম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও ফ্লু ঠেকাতে ভালো কাজ করে।

২. উষ্ণ জলে গলা ব্যথার প্রকোপ কমে। গরম জলে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড়ো ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে স্বাদ-গন্ধের যেমন উন্নতি হয় তেমনি উপকার পাওয়া যায়।

৩. এক চামচ মেথি শুকনো কড়াইয়ে ভেজে গুঁড়ো করে নিন। এখন এক গ্লাস জল মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস, ক্ষতিকর কোলেস্টেরল ও এলডিএলের প্রকোপ কমে। প্রদাহ কমে বলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হজমও ভালো হয়।

৪. এক গ্লাস জলে এক চামচ মৌড়ি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে খান। নয়তো এক গ্লাস জল ফুটিয়ে তাতে এক চামচ মৌরি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২-৩ মিনিট। তার পর ছেঁকে চায়ের মতো খান। স্বাদ বাড়াতে অল্প লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

এই পানীয় পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের উপসর্গ কমায়। এ ছাড়া উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপ কমায়।

৫. ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ জল, আধ চা চামচ মধু নিন। কড়াইতে জিরে হালকা করে ভেজে দেড় কাপ জল দিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট ফোটান। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে জলটা খেয়ে নিন। এতে ওজন কমবে ও হজম শক্তিও বাড়বে।