March 28, 2024 | 10:36 PM

পাড়া মহল্লার হোটেল-রেস্তোরাঁ বা খাবারের দোকান থেকে শুরু করে দেশি-বিদেশি আর নামিদামি ব্র্যান্ডের রেস্তোরাগুলোতেই প্রায়ই পাওয়া যায় ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও জেল-জরিমানার পরেও পরিবর্তন আসে না এই খাতে। আর তাই সত্য জেনেও একরকম বাধ্য হয়েই হোটেলগুলোতে খেতে হয় সাধারণ মানুষদের।
হোটেলগুলোকে খাদ্য, সেবা ও পরিবেশের অবস্থার ওপর মূল্যায়ন করে সবুজ, হলুদ ও লাল এই ভাগে ভাগ করে স্টিকার লাগানো হবে। খাদ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি, রান্নার ধরণ, খাদ্যের গুণগত মান, পরিবেশন পদ্ধতি এবং হোটেলের পরিবেশসহ বিভিন্ন মানদণ্ডে এদেরকে নম্বর দেওয়া হবে।

তিনি জানান, সবুজ ক্যাটেগরিতে থাকবে যারা এ+ (৯০ এর উপরে) এবং এ (৮০ থেকে ৯০) পাবে। হলুদ ক্যাটেগরিতে থাকবে বি ও সি গ্রেডের হোটেলগুলো। এদের রেটিং হবে ৫৩ থেকে ৭৯ এর মধ্যে।

আর সবথেকে লাল ক্যাটাগরিতে থাকবে ডি গ্রেড। আর এসব স্টিকার হোটেলের দৃশ্যমান স্থানে সংযোজন করা হবে যাতে এখানে আসা গ্রাহক স্টিকার দেখে হোটেলের মান সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

আর স্টিকারগুলোর সঙ্গে একটি করে কিউআর কোড থাকছে। তাই ভুয়া স্টিকার লাগানোর সুযোগ নেই। গ্রাহক চাইলে কিউআর কোড স্ক্যান করে স্টিকারের সত্যতা যাচাই করতে পারেন।

হলুদ ও লাল ক্যাটাগরিতে থাকা হোটেলগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবুজ ক্যাটেগরিতে আসতে প্রয়োজনীয় রেটিং অর্জন করতে হবে বলেও জানান সংস্থাটির এই সদস্য।

প্রকল্পের আওতায় আসা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর রান্নাঘর কাঁচঘেরা দৃশ্যমান স্থানে আনা হবে যেন গ্রাহক চাইলে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখতে পারেন। আর যেসব হোটেলে এমনটা সম্ভব হবে সেগুলোর রান্নাঘরে বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। সেগুলো সর্বক্ষণ থাকবে মনিটরিং এর আওতায়।

এসব বিষয়ে হোটেল মালিক সমিতির সহযোগিতায় হোটেল মালিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে খাদ্য কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে। হোটেল কর্মীদেরও দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ।

চলমান সার্ভে অব্যাহত রাখার জন্য পুরো দেশে ৭২৮ জন স্যানিটেশন কর্মকর্তা আছে আমাদের। আরও নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আর সবথেকে বড় বিষয়, আমরা পুরো কার্যক্রমকে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসবো। তখন বিষয়গুলো আরও সহজ হবে।