April 12, 2024 | 9:58 PM

বিশ্বজুড়ে এক নীরব ঘাতকের নাম ডায়াবেটিস। এটি আতঙ্কেরও কারণ। অনেকের ধারণা, কেবল বয়স্করাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। কেবল বয়স্করাই নয়, শিশুরাও হচ্ছে ডায়াবেটিসের শিকার। এমনকী তিনমাস বয়সী শিশুর মধ্যেও এই অসুখের লক্ষণ মিলছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোত্তম উপায় হলো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা। যদিও কারো কারো ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিন শট বা ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে, তবে পরিচ্ছন্ন ডায়েট এবং সক্রিয় জীবনযাপন দীর্ঘমেয়াদে তাদের উপকার করতে পারে।

চিনাবাদাম হলো স্বাস্থ্যকর নাস্তা তবে ডায়াবেটিস রোগীরা এটি নিয়ে বেশিরভাগ সময়েই দ্বিধায় পড়ে যান। চিনাবাদাম শিমের গোত্রের এবং শিম, মসুর, সয়া ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত। এজাতীয় কিছু খাবারে কার্ব থাকে (যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খারাপ বলে বিবেচিত হয়), তবে সমস্ত কার্ব খারাপ নয়। বাদামে ভালো কার্বস রয়েছে যা আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে না। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

জাতীয় চিনাবাদাম বোর্ড অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত লোকদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের ডায়েটে চিনাবাদাম এবং পিনাট বাটার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তবে তাদের যদি এতে অ্যালার্জি না থাকে। চিনাবাদাম এবং পিনাট বাটারে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি পুরোপুরি নিরাপদ করে তোলে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকরভাবে খাবেন যেভাবে-

চিনাবাদাম চাট
চিনাবাদাম চাট একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কাজ করে। চিনাবাদাম শুকনো খোলায় টেলে নিন। এরপর এতে লেবুর রস এবং লবণের সাথে আপনার পছন্দমতো ভেজিটেবল যুক্ত করুন। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জোগাবে।

পিনাট বাটার স্যান্ডউইচ
পিনাট বাটারে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ওজন কমাতে চাওয়া ব্যক্তিদের জন্য দুর্দান্ত। স্মুদি তৈরিতে আপনি পিনাট বাটার যুক্ত করতে পারেন বা মাল্টিগ্রেইন রুটি ব্যবহার করে স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারেন।

চিনাবাদাম পোহা
উত্তর ভারতীয়দের মধ্যে পোহা সকালের খাবার হিসেবে জনপ্রিয়। কম ক্যালোরির পোহা পছন্দমতো সবজি এবং চিনাবাদাম দিয়ে তৈরি করে খেতে পারেন আপনিও, এটি আপনাকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পৌঁছে দেবে।