March 29, 2024 | 9:03 AM

মা হওয়া মানে সুসংবাদ। ঘরে একটি নতুন মুখের আগমন মানে নতুন কিছু আনন্দ যোগ। নিজের ভেতরে একটু একটু করে বেড়ে উঠছে আরেকটি প্রাণ, একজন নারীর জীবনে এটাই সম্ভবত সবচেয়ে সুখের অনুভূতি। কিন্তু এমন অনেক নারীই আছেন যাদের কাছে মা হওয়া মোটেও খুশির খবর নয়। বিশেষ করে বেশিরভাগ কর্মজীবী নারীই মনে করছেন যে গর্ভবতী হওয়ার কারণে তাদের চাকরি আশঙ্কার মুখে।

মা হওয়ার খবর পেলে, বা গর্ভাবস্থাকালে কাজ থেকে বহিষ্কৃত করা হতে পারে এই ভয়েই দিন কাটে অনেক নারীর। যদিও পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। বাবা হওয়ার খবর পুরুষদের কর্মক্ষেত্রে খানিক উৎসবের মুহূর্ত যেন।

গবেষকরা বলছেন, মা হওয়ার খবরে চাকরি হারানোর ভয় বাড়ছে মহিলাদের মধ্যে। মা হতেও চাইছেন না অনেক কর্মজীবী নারী। ফলিত মনোবিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাটি। গবেষণায় প্রমাণিত যে, সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার পরে অফিসে গেলে নারীরা মনে করেন যে এখন তাদের আর সেভাবে অফিসে বা কর্মস্থলে স্বাগত জানানো হবে না।

ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা বলছেন, নারীদের উপর করা প্রথম এই গবেষণায় দেখা গেছে যে, তাদের মনে হয় গর্ভাবস্থার সময় তাদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে। ব্যবস্থাপনা বিষয়ের সহ অধ্যাপক, পুস্টিয়ান আন্ডারডল বলেন, “আমরা দেখেছি যে নারীরা যখন তাদের গর্ভধারণের কথা প্রকাশ্যে আনে তখন কর্মস্থলের অনেকেই তাদের আর আগের চোখে দেখে না।”

পুস্টিয়ান আরও বলেন, “যখন নারীরা এই বিষয়ে তাদের বস বা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তখন আমরা দেখেছি যে তাদের কাজে ক্ষেত্রে কম উৎসাহিত করা বা পদন্নোতির সম্ভাবনার হার কমে গিয়েছে, অথচ পুরুষদের এই ক্ষেত্রে উৎসাহিত করার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।”

পুস্টিয়ান জানিয়েছেন, গর্ভবতী নারীদের চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার ভয় কাজ করে বেশিই। দ্বিতীয়ত পুস্টিয়ান জানিয়েছেন, নারীরা এই কারণেই ভয় পান কারণ, গর্ভাবস্থায় ব্যক্তিগত জীবনে ও কর্মজীবনের ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন আসে যা একা নারীকেই মোকাবিলা করতে হয়। গবেষণায় কিছু নতুন বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে গর্ভবতী নারীদের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করা উচিত, কীভাবে ব্যবহার করা উচিৎ।

পুস্টিয়ানের মতে, “মা হতে চলা নারীদের কর্মজীবনে উৎসাহ দেওয়া বা প্রোমোশন দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা করা বা নিরুৎসাহিত করা একেবারেই উচিত নয়। পাশাপাশি বস বা কর্তৃপক্ষকে সন্তানের বাবা এবং মা দুজনেরই সামাজিক নানা সাহায্য প্রদানেও নজর রাখতে হবে। শুধু অফিস নয়, চাকুরিরতা গর্ভবতীদের নিজেদের পরিবারকেও সংবেদনশীল হতে হবে যাতে কাজ ও পরিবারের চাপে মানসিক দিক থেকে মা বা বাবা কেউই ভেঙে না পড়েন।”