হেয়ার ডিটক্স করবেন যেভাবে দেখে নিন সহজ পদ্ধতি

Written by News Desk

Published on:

যারা নিয়মিতভাবে হিট স্টাইলিং, কালার ট্রিটমেন্ট বা নানাধরনের স্টাইলিং প্রডাক্ট ব্যবহার করেন তাদের চুলে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে বাধ্য। স্টাইল করা চুল নজর কাড়লেও পরে কিন্তু তা বিবর্ণ ও ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে! চুলের স্টাইল করার পরেও চুলের দরকার বিশেষ যত্ন। এরকম সময়ে আপনার দরকার হেয়ার ডিটক্স। স্টাইলিংয়ের কেমিক্যাল আর উত্তাপ আপনার চুলের যে ক্ষতি করে, তা পুষিয়ে নিতে পারবেন হেয়ার ডিটক্সের মাধ্যমে।
চলুন জেনে নেই কীভাবে হেয়ার ডিটক্স করবেন-

হেয়ার মুজ, হোল্ডিং স্প্রে, ব্যবহার করলে সেসব প্রডাক্ট চুলে লেগে থাকে অনেকদিন। চুলের পিএইচ লেভেলও নষ্ট হয়ে যায় এ কারণে। কোমল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তারপর এক কাপ অ্যাপল সিডার ভিনিগার স্ক্যাল্পে ঢেলে ধুয়ে নিন। চুলের স্বাভাবিক পিএইচ ব্যালান্স ফিরে আসবে।

হালকা গরম নারিকেল তেল চুলে ও মাথার ত্বকে ভালো করে মাসাজ করুন। তারপর গরম জলে ভেজানো একটা তোয়ালে মাথায় ভালো করে জড়িয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। শ্যাম্পু করে তেল ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন!

বাজারচলতি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনারে প্রচুর কেমিক্যাল থাকে চুলের ক্ষতি করে। সেসব এড়িয়ে যদি প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুল ধুতে পারেন তা হলে ভালো হয়। এক টেবিলচামচ বেকিং সোডা এক বাটি জলে গুলে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে লাগান। ধুয়ে ফেলুন। তারপর এক টেবিলচামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার এক বাটি জলে মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। কন্ডিশনার হিসেবে চুলে কাঁচা মধু লাগাতে পারেন। ভেজা চুলে মধু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই হলো!

দুই চা চামচ বেকিং পাউডার, তিন টেবিলচামচ অলিভ অয়েল আর দু’ চাচামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে একটা মিহি পেস্ট তৈরি করুন। মাথায় লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর যথারীতি শ্যাম্পু করে নিন।

Related News