March 28, 2024 | 2:53 PM

মাসের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরই কিছু সমস্যা হয়ই। কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। অর্থাৎ পিরিয়ডের দিনগুলোতেও তারা সবকিছু সামলে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারেন। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা বেশ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পিরিয়ডের সময়ে পেটে ব্যথা বা কোমরে ব্যথার বিষয়ে আগে থেকে অবগত থাকার কারণে ব্যথা কমানোর নানা চেষ্টা করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ সতর্ক থাকা যায়। কিন্তু পিরিয়ড শুরুর কিছুদিন আগে থেকেই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগেন অনেক মেয়ে। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে তারা নিজেরাও জানেন না!

প্রতিটি মেয়ের হরমোনের স্তরে পিরিয়ড শুরুর আগে কিছু পরিবর্তন আসে। বেড়ে যায় স্ত্রী-হরমোন ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন নিঃসরণের পরিমাণ- ফলে মুড সুইং হতে পারে, বাড়তে পারে রাগ ও উত্তেজনার পরিমাণও। সেই সঙ্গে কমে সেরোটোনিনের পরিমাণও। ফলে বিরক্তিবোধ বা খিটিমিটিভাব বাড়তে থাকে।

অনেক পরিবার রয়েছে, বেশিরভাগ নারীই পিএমএস বা প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের শিকার- সেসব পরিবারের মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বাড়িতে যারা গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হন বা ডিপ্রেশনের পুরোনো ইতিহাস আছে, তাদেরও এধরনের সমস্যা হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন আপনি এই সমস্যায় ভুগছেন?
প্রি মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম বা পিএমএস-এ ভুগছেন কি না তা বোঝার জন্য কিছু বিষয়ে খেয়াল করুন। পিরিয়ডের সময় এগিয়ে এলেই যদি আপনার স্তনবৃন্তে ব্যথা, ব্রণ, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, পেট ফাঁপা, কনস্টিপেশন, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, ঘুমোতে সমস্যা হয় তবে বুঝবেন আপনি এই অসুখে ভুগছেন।

মনঃসংযোগে সমস্যা, রাগ, সামান্য সামান্য ব্যাপারে কান্নাকাটি, লিবিডো কমে যাওয়া, মেজাজ হারানো হচ্ছে পিএমএসের মূল লক্ষণ। আপনি যদি লাগাতার কয়েকমাস পিরিয়ডের জন্য নির্ধারিত দিনগুলির ৫-১১ দিন আগে নিজের শারীরিক লক্ষণগুলি খুঁটিয়ে দেখেন, তা হলেই বুঝে যাবেন আপনার পিএমএস হয় কিনা। সাধারণত এই ধরনের সমস্যা সামলে নেয়া যায়, একবার পিরিয়ড শুরু হলে কমেও যায়। তবে যদি মনে হয় যে লক্ষণগুলো জটিল আকার ধারণ করছে, তাহলে অতি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

ঘরোয়া সমাধান
এই সময়ের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন আর মিনারেল থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে ভিটামিন ডি, ই আর বি৬ পিএমএসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রয়োজন ম্যাগনেশিয়ামেরও।

মুড ভালো থাকলে শরীরও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাই এমন কাজ করুন যা আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে। খুব বেশি ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, কফি-চা-মদ্যপান থেকে দূরে থাকতে হবে। গ্রিন টি, আদা দেয়া চা, তিল খেতে পারেন।

বিনস, ডাল, মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া উচিত নিয়ম করে। দূরে থাকুন খুব বেশি চিনি আর লবণ দুটো থেকেই।